• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ইবিতে ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার, ক্যাম্পাসজুড়ে তল্লাশি


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম
ইবিতে ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার, ক্যাম্পাসজুড়ে তল্লাশি
ক্যাম্পাসে পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তাকর্মীদের বেশকটি গ্রুপ তল্লাশি চালায়। ছবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে ও সকালে ক্যাম্পাসের ছয়টি স্থানে এসব ককটেল পাওয়া গেছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ভীতি বিরাজ করছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে প্রক্টর ও ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একযোগে তল্লাশি চালায় পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তাকর্মীরা।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বেলা তিনটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তাকর্মীদের বেশ কটি গ্রুপ তল্লাশি চালায়। তবে তল্লাশিতে নতুন করে কিছু পাওয়া যায়নি।

এদিকে উদ্ধারকৃত বস্তুগুলো ককটেল কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বস্তুগুলো ইবি থানাধীন কর্মকর্তার সহায়তায় উদ্ধার করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কুষ্টিয়া থেকে বিশেষজ্ঞ দল এসে বস্তুগুলো পরীক্ষা করার কথা থাকলেও দুপুর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কেউ আসেননি।

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে আমরা পুরো ক্যাম্পাসে অনুসন্ধান চালিয়েছি। তবে নতুন কিছু পাওয়া যায়নি। যেগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো আমরা আগামীকাল তালিকাভুক্ত করে র‍্যাব বা পুলিশের যারা এ বিষয় নিয়ে কাজ করে তাদের হস্তান্তর করব। তারপর জানা যাবে এগুলো কী ছিল। দোষীদের শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি।”

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, “শোনার পর থেকেই আমরা তল্লাশি চালিয়ে প্রথমেই ছয়টি ককটেলসদৃশ বস্তু পাওয়ার পর সেগুলো পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। তারা সেগুলো পানিতে রেখেছে। আরও কোথাও কোনো কিছু আছে কিনা খোঁজ নিতে পুরো ক্যাম্পাসে তল্লাশি সম্পন্ন করেছি। শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা কাজ করছি।”

সকালে এ বিষয়ে জরুরি সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, “জাতীয় কোনো ইস্যুতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে না। যতটুকু মনে হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে প্রশাসনকে চাপে ফেল কোন একটি গোষ্ঠী স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মিটিং করেছি। কারা এটি করেছে বা কেন করেছে তারা সেটি অনুসন্ধান করছেন।”

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ও শুক্রবার সকালে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান থেকে ককটেলসদৃশ ছয়টি বস্তু উদ্ধার করেন পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা। 

Link copied!