• ঢাকা
  • শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১, ০৫:১৮ পিএম
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

প্রবাস জীবনে বাঙালিকে সবথেকে বেশি দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় ষোলো আনা বাঙালিয়ানা খাবার নিয়ে। আর যা-ই হোক, ভিনদেশি খাবার তৃপ্তিসহ খাওয়া যায় না। তাই রেস্তোরাঁ গুলোতে বিদেশি খাবারের মাঝে চোখ খুঁজে ফেরে বাঙালি খাবার—ভাত, মাছ কিংবা ডাল। কারণ, রাতারাতি খাদ্যাভাস পাল্টে ফেলা তো সম্ভব না। বাঙালি বলে কথা।

তবে এমন অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আছেন যারা ক্যাটারিং সার্ভিসের মাধ্যমে বিদেশে দেশের খাবারের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মাহফুজা জান্নাত তাদের একজন। পড়ালেখার উদ্দেশে ২০১৬ পাড়ি জমিয়েছিলেন দেশটিতে। ম্যাককোয়্যারি বিশ্বাবিদ্যালয়ে গণমাধ্যম বিষয়ে স্নাতক করছেন তিনি।

পড়াশোনাও চলছিল বেশ। একটা সময় তিনি অনুধাবন করলেন, সেখানকার প্রবাসীরা বাঙালি খাবারের জন্য হন্যে হয়ে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় ছোটাছুটি করেন। তখন মাথায় এলো, ভোজন রসিক বাঙালির জন্য কিছু একটা করবেন। যেই ভাবনা সেই কাজ।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তখন অস্ট্রেলিয়ায় চলছিল লকডাউন। মাহফুজা বেছে নিলেন সেই সময়টা। শুরু করলেন ক্যাটারিং সার্ভিস। অবিশ্বাস্যভাবে তার খাবার সাড়া জাগায় বাঙালি কমিউনিটিতে। সেই সূত্র ধরে তার এই ক্ষুদ্র উদ্যোগের গল্প তুলে ধরা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘এসবিএস টিভি’তে। চ্যানেলটির ‘দ্য ফিড’ নামের অনুষ্ঠানে তিনি তার এই উদ্যোগের পেছনের গল্প বলেন।

অনুষ্ঠানে মাহফুজা বলেন, “আমি রান্না করতে ভালোবাসি। কিন্তু কখনো নিজেকে শেফ বলি না। কারণ, রান্না নিয়ে আমার কোনো ডিগ্রি নেই। এমনকি এর পেছনে আমি অনেক বছর ব্যয়ও করিনি। তবে আমি বাংলাদেশি খাবার ভালো রান্না করতে পারি। এটা বংশগতভাবে আমি পেয়েছি। প্রতি সপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার খাবার সরবারহ করে থাকি। প্রায় চারশ বাক্স খাবার তৈরি করি প্রতি সপ্তাহে।”

মাহফুজার এমন অর্জনের পর কথা হয় সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমার অনুভূতি বিষ্ময়কর। ছোট ছোট কাজগুলো যখন এত বেশি প্রশংসা পায় তখন অনুভূতিটা দারুণ হওয়াই স্বাভাবিক। আমার মতো যারা দেশের বাইরে এসে নিজের দেশের খাবারের টানে বিভিন্নরকম রেস্তোরাঁয় ছোটাছুটি করেন তাদের জন্য আমার এই চেষ্টা। আমি সবসময় চাই দেশের স্বাদ তাদের মুখে পৌঁছে দিতে। আমি ভাগ্যবতী, এতটা পরিচিতি পাওয়ায়। তবে এটা কখনোই সম্ভব হতো যদি আমার বন্ধু ও পরিবারের সহযোগিতা না পেতাম। আশা করি ভবিষ্যতেও তাদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারব।”

পরিবার ও বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে মাহফুজা জান্নাত তার জেনিস কিচেনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চান। বিদেশে পড়াশোনার পাশাপাশি আগামীতে আরও ভালো কিছু কাজ করতে চান এই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। 

অনুষ্ঠানটি দেখুন:

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!