শীতের তীব্রতার সঙ্গে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। এতে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে। শয্যার চেয়ে চারগুণ রোগী ভর্তি। একই বিছানায় তিনজন পর্যন্ত রোগী বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মোট ৫৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি ছিলেন। যার মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা ৪৩ জন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন।
গত ৫ থেকে ১২ জানুয়ারি (এক সপ্তাহে) ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দৈনিক গড়ে ৪৭ জন রোগী চিকিসাধীন ছিলেন। যদিও ওই ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা ১২টি। এ হিসেবে রোগীর সংখ্যা চার গুণ।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স আসমা খাতুন জানান, গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শিশুই বেশি। ১২ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫৬ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিলেন। রোগী আসা থামছে না। সব রোগীকে শয্যা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে এক বিছানায় তিনজন পর্যন্ত রোগীর থাকতে হচ্ছে। অনেক রোগীর জায়গা হয়েছে মেঝেতে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার পুলক কুমার সরকার জানান, রোগীর সংখ্যার তুলনায় শয্যা কম। চিকিৎসকও পর্যাপ্ত নয়। সব মিলে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এরপরও সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রোগীর স্বজনদের সচেতন করা হলেও রোগীর স্বজনরা পুরোপুরি মানছেন না বলেও দাবি এ চিকিৎসকের।