• ঢাকা
  • বুধবার, ০৯ জুলাই, ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মুহররম ১৪৪৬

বারহি, মরিয়ম ও খুনেজি চাষে স্বপ্ন দেখছেন ইঞ্জিনিয়ার


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২, ১১:৩২ এএম
বারহি, মরিয়ম ও খুনেজি চাষে স্বপ্ন দেখছেন ইঞ্জিনিয়ার

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় সৌদি আরবের খেজুর চাষ করে স্বপ্ন দেখছেন ইঞ্জিনিয়ার জামাল হোসেন মুন্সী নামের এক যুবক। প্রথমে ড্রাগন ফল চাষে লাভের মুখ দেখার পর সৌদি আরবের খেজুরের বাগান করেন তিনি। এখন খেজুর থেকেও লাভের আশা তার।

চাকরির পেছনে না ছুটে ব্যবসার পাশাপাশি উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের নিখোঁরহাটি গ্রামের আয়নাল হক মুন্সীর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার জামাল হোসেন মুন্সি বাড়ির পাশে ৫২ শতাংশ জমিতে সৌদি আরবের খেজুর গাছের চারা রোপণ করেছেন। খেজুর দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসছেন তার বাড়িতে।

জামাল মুন্সি বলেন, “বাড়ির পাশে একটি জমিতে কয়েক বছর আগে প্রথমে ড্রাগন গাছের চারা রোপণ করি। এরপর সৌদি আরবের কয়েকটি উন্নত জাতের খেজুর গাছের চারা রোপণ করি। আমি ড্রাগন ফল বিক্রি করে প্রচুর লাভবান হয়েছি। এ বছর গাছে প্রচুর খেজুর ধরেছে এবং পাকতে শুরু করেছে। খেজুরের মান ও ফলন খুবই ভালো হয়েছে। আশা করছি খেজুর বিক্রি করেও আমি লাভবান হতে পারব। আমি এলাকায় এ ধরনের আরও কয়েকটি বাগান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

জামাল লেখাপড়া শেষ করে ঢাকায় নিজেই ব্যবসা শুরু করেন। এশিয়ান পাওয়ারটেক কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। ব্যবসার পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতে ফলের আবাদ শুরু করেন জামাল।

সৌদি খেজুরে লাভের আশায় জামাল বলেন, “৫২ শতাংশ জমিতে ‘বারহি’, ‘মরিয়ম’ ও ‘খুনেজি’ জাতের খেজুরের চাষ করেছি। চারা রোপণের সাড়ে তিন বছরের মধ্যে গাছগুলোতে পর্যাপ্ত খেজুর ধরতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ফল পাকতেও শুরু করেছে।”

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. হজরত আলী বলেন, “বাংলাদেশে সৌদি আরবের খেজুর চাষ একটি সম্ভাবনা। এর জন্য কৃষি পর্যায়ে গবেষণা প্রয়োজন। এতে খেজুর চাষের প্রক্রিয়া আরও সহজতর হবে। হর্টিকালচার সেন্টারকেও কাজে লাগানো যেতে পারে। কৃষক পর্যায়ে খেজুর চাষের বার্তা পৌঁছে দিলে এটি পুরো দেশেই ছড়িয়ে পড়বে। লাভজনক এই চাষে কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে উঠবে।”

Link copied!