নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন ফলের অপেক্ষায়। উৎসবমুখর পরিবেশে কোনো ধরনের গোলযোগ ছাড়াই শেষ হয়েছে ভোট।
শুরুতে উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে। শীতের মধ্যেও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে কেন্দ্রে হাজির হন ভোটাররা। তরুণ থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ, সব বয়সী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
ভোট ইভিএমে হওয়ায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফল জানা যাবে, কে হচ্ছেন নারায়ণঞ্জ শহরের পরবর্তী মেয়র।
রোববার সকাল ৮টায় ১৯২টি কেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। কোনো ধরনের গোলোযোগ ছাড়াই শেষ হয় বিকেল ৪টায়। সবকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে ইভিএমে। নারায়ণগঞ্জ শহরে ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৫৭ হাজার ১১১ জন নারী ভোটার এবং ৪ জন ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বলেন, “নাসিক নির্বাচনে সার্বিক অবস্থা ভালো ছিল। প্রথমদিকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়ে এবং উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।”
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী শিশুবাগ বিদ্যালয়ের নারীকেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোট দিতে আসেন। ভোট শেষে আইভী বলেন, “নারায়ণগঞ্জের মানুষ নির্ধারণ করে ফেলেছেন আমাকেই ভোট দেবে। ইনশাআল্লাহ নৌকার জয় হবেই হবে, আইভীর জয় হবেই হবে।”
এদিকে, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, “লক্ষাধিক ভোটে আমার জয় হবে।”