মানুষের বিপুল আগ্রহের কারণে করোনার গণটিকার মেয়াদ আরও বেড়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “ভয়ের কোনো কারণ নেই, আজকের পর থেকে করোনার প্রথম ডোজসহ সকল ডোজই চালু থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “এনিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের কাছে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত টিকা রয়েছে।”
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদে গণটিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “দেশের যেসব এলাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে, সেখানে গণটিকা কার্যক্রম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। তবে যেসব জায়গায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও আগ্রহ রয়েছে, সে সকল এলাকায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া পর্যন্তই টিকা কর্মসূচি চলবে।”
জাহিদ মালেক বলেন, “যত টিকাই প্রয়োজন হোক আমরা দিতে পারব। টিকা অতিরিক্ত হয়ে গেলে আমরা অন্য যে দেশ টিকা পায়নি তাদের দিয়ে দেব। আজকের কর্মসূচির পর দেশে প্রথম ডোজ টিকার আওতায় আসবে ১২ কোটি মানুষ।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “দেশের মানুষ টিকাবান্ধব। তারা উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা নিচ্ছেন। প্রত্যেক দেশের ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ থাকলেও টার্গেটের অতিরিক্ত টিকা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ।”
এখনো যারা টিকা নেননি তাদের দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গড়পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী, জেলা ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান প্রমুখ।