নওগাঁর সদর উপজেলায় স্ত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কলেজপড়ুয়া মেয়েকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে উজ্জ্বল হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ আগস্ট) নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার ইকরতারা এলাকা থেকে উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জেলার রানীনগরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি করেন ভুক্তভোগীর মা। চাকরির কারণে তাকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। এই সুযোগে উজ্জ্বল হোসেন তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে ভুক্তভোগীর মা ও ছোট বোনকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
রাতে কিশোরীর মা বাড়ি ফিরলে তাকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন উজ্জ্বল। পরে রাতে আবার দা সামনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এভাবেই দীর্ঘদিন ধর্ষণের শিকার হতে থাকেন ওই মেয়েটি। লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি সে। এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পুলিশকে সবকিছু জানিয়ে দেবে বললে উজ্জ্বল ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দেন। মেয়েটি বাবার অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে তার মাকে বিষয়টি জানায়। এরপর মা এ বিষয়ে মামলা করেন।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, “ঘটনাটি আমি জানতে পেরে স্বামীকে জিজ্ঞেস করেছি। এরপর সে দুই মেয়ে ও আমাকে মারধর করে। এ সময় আমি মামলা করব বলে তাকে জানাই। পরে সে আমার গোপন ভিডিও সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি পুরো ঘটনাটি পুলিশ সুপারকে জানাই।”
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, “ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় তরুণীর বাবাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।”