খুলনায় দুই দফা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরীর অধিকাংশ সড়ক। বৃষ্টিতে অলি-গলি ছাড়াও প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে পানি থৈ থৈ করছে। অধিকাংশ বাড়ি ও দোকানপাটের নিচতলা ডুবে গেছে। বৃষ্টি থামার পরও অনেক সড়কের পানি নামেনি।
শনিবার (২৭ মে) সকাল ও দুপুরে বৃষ্টিতে অধিকাংশ সড়কে হাঁটুপানি জমেছে। সড়কগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় নগরীর বেশকিছু সড়কে যানবাহন আটকা পড়েছে। ফলে যানজটে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটু ভারি বৃষ্টি হলেই নগরীর বাইতিপাড়া, শান্তিধাম মোড়, রয়্যাল মোড়, টুটপাড়া, স্যার ইকবাল রোড, শামসুর রহমান রোড, পিটিআই মোড় ও বিআইডিসি রোডে বৃষ্টি হলেই সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে নৌকা চলাচলের উপযোগী হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয়দের। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজে ধীর গতির কারণে এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
নগরীর বিআইডিসি রোডের সোহেল রানা বলেন, “সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি পানিতে তলিয়ে গেল। নতুন রাস্তার মোড় থেকে পিপলস মোড় পর্যন্ত বেহাল দশা। আর আলমনগর ও কদমতলা মোড় পর্যন্ত বৃষ্টি হলে পানি জমে। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে খানাখন্দ। আর এখন ড্রেনের কাজ চলছে। ফলে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে কাদামাটি জমে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।”

এ বিষয়ে কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ বলেন, “নগরীর অধিকাংশ ড্রেনের সংস্কার কাজ চলছে। আর সেই কারণে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আজ যেসব স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সেই এলাকার পানি অপসারণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, “শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তিন মিলিমিটার এবং দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত খুলনায় ২১ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।”