বগুড়ায় যানবাহন ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ আর পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপের মধ্যে দিয়ে চলছে অবরোধ কর্মসূচি। রোববার (৫ নভেম্বর) বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় দফা অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে বগুড়ার বিভিন্ন মহাসড়কে এ চিত্র দেখা গেছে।
অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দফায় বগুড়ায় ব্যাপক যানবাহন ভাঙচুর এবং ৪টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর পুলিশ কঠোর অবস্থান নেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ বলছে, রোববার সকাল ৭টার দিকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে শহরতলির তেলীপুকুর ও বারপুর এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সকাল সোয়া ৮টার দিকে পুলিশ পাহারায় বেশ কিছু পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারাপারের সময় বহরের পেছনে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা। পরে পুলিশ সেখানে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে অবরোধকারীরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
সকাল ১০টার দিকে তেলীপুকুর এলাকায় আবারও অবরোধকারীরা অবস্থান নিয়ে যানবাহন ভাঙচুর শুরু করলে পুলিশ আবারও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে অবরোধকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। একই সময়ে মহাসড়কে ঝোপগাড়ি এলাকায় কিছু যানবাহন চলাচলের সময় অবরোধকারীরা ৫-৬টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা একেবারই কম চলাচল করছে। রাতে আটকে পড়া কিছু পণ্যবাহী ট্রাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পার করে দেওয়ার সময় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে শহরতলির মাটিডালি ও বনানী মোড়ে অবরোধ বিরোধী সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
তবে বগুড়ার চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এবং আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস চলাচল করেনি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল কম।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আকতার বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর রয়েছে।