• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

পঞ্চগড়ে পৃথক ঘটনায় দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪, ১১:৪০ এএম
পঞ্চগড়ে পৃথক ঘটনায় দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

পঞ্চগড়ে নিখোঁজের পর পৃথক দুই স্থান থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একজনের মরদেহ করতোয়া নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায়, আরেকজনের মরদেহ একটি আমবাগানের ড্রেন থেকে মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।

নিখোঁজের মধ্যে টাবুল বর্মন (৪৮) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ মিলেছে মাটি খুঁড়ে। নিখোঁজের তিন দিন পর সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের ডোলোপাড়া এলাকার একটি আমবাগানে ড্রেনের মাটি খুঁড়ে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

টাবুল বর্মনের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের লাখেরাজ ঘুমটি এলাকায়। তিনি ওই এলাকায় ভগিরাম বর্মনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয় টাবুল। তারপর থেকে তার আর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার তার পরিবারের লোকজন পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তারপর পুলিশ তার খোঁজে অভিযান শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাকলাহাট ইউনিয়নের ডোলোপাড়া এলাকার একটি আম বাগানের একটি ড্রেনে খুঁড়ে পুলিশ টাবুলের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, নিখোঁজের জিডি করার পর আমরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় আমরা টাবুলের মরদেহ আম বাগানের একটি ড্রেনের ভেতর থেকে উদ্ধার করি। সেখানে তাকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া ও আসামীদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অন্যদিকে বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের করতোয়া নদীর সাওতালপাড়া ঘাট এলাকায় নিখোঁজের ৫ দিন পর নুরল ইসলাম (৪২) নামে এক ইজিবাইক চালকের হাত পা বাধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে নদীর ওই স্থানে মরদেহটি ভেসে থাকতে থেকে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। নিহত নুরুল ওই ইউনিয়নের কাউয়াখাল এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, গত ২৭ জানুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়ে যায় নুরুল। রাতে বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরদিন দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা এলাকায় তার ইজিবাইকটি পাওয়া যায়। তারপর পরিবারের লোকজন প্রায় নিশ্চিত হয় যে তিনি ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন। কিন্তু তারপরও তার কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। ২৮ জানুয়ারি তার স্ত্রী শেফালি বেগম বোদা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ৩০ জানুয়ারি অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের নামে অটো ছিনতাই এবং অপহরণের মামলা করেন তিনি। মামলার পর আলম (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। শুক্রবার বিকেলে নদীর ওই স্থানে মরদেহটি দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ ও তার পরিবারের লোকজন গিয়ে তার মরদেহ শনাক্ত করে। তবে তার সাথে থাকা ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা অক্ষত ছিল। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
 

Link copied!