বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সিরাজ নামের একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে পঙ্কজ-শাম্মী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দলীয় সূত্র জানা যায়, দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডা. শাম্মী আহমেদের কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভুট্টো মোল্লা বলেন, “মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে ঢুকতে ছিলাম। আগে থেকে অবস্থান নেওয়া শাম্মী অনুসারীরা বোতল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তখন তারা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সিরাজসহ ১৫ জনকে আহত করেন। এর মধ্যে সিরাজ মারা যান।”
শাম্মীর অনুসারী হিজলা উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, “আমরা আগে থেকে জনসভাস্থলে ছিলাম। পঙ্কজ নাথের অনুসারীরা প্রবেশ করে মারামারি শুরু করেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তখন মারামারির মধ্যে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সিরাজ। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
এ ব্যাপারে বরিশাল-৪ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ বলেন, “আমার লোকজন যখন জনসভা মাঠে প্রবেশ করেন, তখন হামলা হয়। জনসভা মাঠে তারা লাঠি ও রড কোথায় পেল?” পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।”
অপরদিকে শাম্মী আহমেদ বলেন, “সিরাজ কৃষক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কোনো লোক তার (পঙ্কজ) সঙ্গে নেই। আওয়ামী লীগের সবাই ঐক্যবদ্ধ। তাদের ওপর হামলা করেছে। এতে সিরাজ মারা গেছেন।”
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। তবে কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আপনার মতামত লিখুন :