• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

হত্যাকাণ্ডের ২০ বছর পর দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
হত্যাকাণ্ডের ২০ বছর পর দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে তিন ভাইবোন হত্যার মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদারের আদালত এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুচরা এলাকার আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম (৭০) ও ইউসুফ ওরফে বাইট্টা ইউসুফ (৭০)।

মামলায় অন্য আসামি শিবির ক্যাডার মো. নাছির ও ফয়েজ মুন্না র‍্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়েছিলেন আদালতের বিচারক।

মামলার এজাহার ও আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকায় ৩৬ শতক জমি নিয়ে হত্যার শিকার সাইফুল, তার ভাই আলমগীর ও বোন মনোয়ারার সঙ্গে আসামি ইউসুফ ও কাশেমের বিরোধ ছিল। ২০০৪ সালের ২৯ জুন নগরের বালুচরা এলাকায় সাইফুলের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা করেন আসামিরা। হামলায় ছিলেন শিবির ক্যাডার গিট্টু নাছির, তার সহযোগী ফয়েজ মুন্না ও আজরাইল দেলোয়ার। সঙ্গে ছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত কাশেম ও ইউসুফ।

আসামিদের দেখে মনোয়ারা বেগম চিৎকার দিলে তাকে প্রথমে গুলি করেন ফয়েজ মুন্না। এতে মনোয়ারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। বোনের চিৎকার শুনে আলমগীর ঘর থেকে বের হলে আসামি ইউসুফ ফয়েজ মুন্নাকে গুলি করার নির্দেশ দেন। নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে আলমগীরকে গুলি করেন মুন্না। আলমগীর পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরপর ঘর থেকে সাইফুল বের হলে কপালে, বুকে, পেটে, পিঠে ও হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

সাইফুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন থানায়। ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আসামি ইউসুফ ও কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০১৭ সালের ৫ জুলাই বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচারকাজ শেষ করে এ রায় ঘোষণা করলেন বিচারক।

এ বিষয়ে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এম এ ফয়েজ বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তিন ভাইবোন হত্যার অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ কারণে আসামি কাশেম ও ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজার পরোয়ানামূলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আলোচিত এ মামলা প্রমাণ করতে মোট ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।’

Link copied!