• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজ ফেনী মুক্ত দিবস


ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৩, ১১:৩২ এএম
আজ ফেনী মুক্ত দিবস
ফেনী মুক্ত দিবস। ছবি : সংগৃহীত

আজ ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে রক্তঝরা দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ মাড়িয়ে মুক্ত হয় ফেনী। সেই থেকে দিনটি ‘ফেনী মুক্ত দিবস’ হিসেবে পরিচিত।

এদিন ভোর থেকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা ফেনীর পূর্বাঞ্চল দিয়ে ২ নম্বর সাব সেক্টর কমান্ডার ও ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা অধিনায়ক লে. কর্নেল (তৎকালীন ক্যাপ্টেন) জাফর ইমামের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে ফেনী শহরে প্রবেশ করতে থাকেন।

সেদিন সকালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান শুনে অনেকেই হকচকিত হয়ে ওঠেন। স্লোগান শুনে প্রথমে শহরবাসী বিশ্বাস করতে পারেননি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের মিছিলে দেখতে পান। তখন লোকজনের ভুল ভাঙতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সাধারণ মানুষ মিছিলে যোগ দিতে শুরু করেন।

স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধের লক্ষণ দেখে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী আর তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনী ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। আর দীর্ঘ নয় মাসের বজ্রকঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুক্তিকামীরা লাল-সবুজের এক টুকরো পতাকা ফেনীর আকাশে উড়িয়ে দেন।

লে. কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম, বীর বিক্রম বলেন, আমরা যখন ফেনী প্রবেশ করলাম ক্ষণিকের মধ্যে ফেনী শহরে জনতার ঢল এসেছিলো। শুরু হয় বিজয় মিছিল। জয়বাংলা স্লোগানে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে। রাস্তায় জনগণ যেখানেই মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সাক্ষাৎ হচ্ছে সেখানেই তাৎক্ষণিক তারা আলিঙ্গন করে বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়ছিল। অনেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে কোলে করে রাস্তা পরিদর্শন করছিল। রাস্তার দু’পাশ থেকে জনতা দু’হাত নেড়ে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিল। মিছিলে মিছিলে শোভা পাচ্ছিল বাংলাদেশের পতাকা। অনেককে বিজয়ের আনন্দে কাঁদতে দেখেছি।

মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে সকাল ১০টায় শহরের জেল রোডস্থ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে ফেনী সরকারি কলেজে বীর মুক্তিযোদ্ধা-শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে আলোচনা সভা। সন্ধ্যায় ট্রাংক রোডস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারসহ বীরমুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ, সুধীজনসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিবেন।

Link copied!