• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত প্রচারে আছে পলিফোনিক সাইরন, নেই শব্দ


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম
ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত প্রচারে আছে পলিফোনিক সাইরন, নেই শব্দ

বরগুনার বামনা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ের মহাবিপদ সংকেত প্রচারে পলিফোনিক সাইরেন স্থাপনের সময় সাইরেনটি বাজলেও বর্তমানে সাইরেন আছে কিন্তু নেই কোনো শব্দ।

শনিবার (১৩ মে) বিকেলে শের ই-বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্থাপিত পলিফোনিক সাইরেনটি স্থানীয়দের নজরে আসে।

জানা যায়, ২০০৭ সালে সুপার সাইক্লোন সিডরে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটলে ঘূর্ণিঝড়ে মানুষকে বাঁচাতে মহাবিপদ সংকেত প্রচারের জন্য ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে রামনা শের-ই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্টীলের পাইপে উচু করে স্থাপন করা হয় পলিফোনিক সাইরেন।

৬টি ছোট মাইক সংবলিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই পলিফোনিক সাইরেনটির আওয়াজ তিন বর্গকিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়। কেবল ৮নং মহাবিপদ সংকেত দেখানোর প্রয়োজন হলে এ ধরনের সাইরেন বাজিয়ে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়। কিন্তু দুর্যোগের সময় এই সাইরেনটি কোনো কাজেই আসছে না। এটি নষ্ট হয়ে রয়েছে দীর্ঘ ৯টি বছর ধরে।

রামনা শেরই বাংলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কামাল হোসেন বলেন, “সাইরেনটির মাইক ভালো আছে তবে এটি চালাতে হলে যে ব্যাটারী প্রয়োজন সেটি বর্তমানে নষ্ট রয়েছে। ব্যাটারী লাগালে এটি ঠিক হয়ে যাবে।”

বামনা উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট যুবনেতা হাসিবুর রহমান বলেন, “এটির ক্ষমতা ৩ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে সাইরেনটি অকেজো।”

রামনা ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আ. খালেক জমাদ্দার বলেন, “৮নং মহাবিপদ সংকেত প্রচারে এবং মানুষের কাছে সাইরেনের শব্দ পৌঁছাতে এই পলিফোনিক সাইরেনটির এই মুহূর্তে অনেক প্রয়োজন ছিল।”

এ বিষয়ে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্তরা হালদার বলেন, “সাইরেনটি অকেজো রয়েছে। শীঘ্রই এটি সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।” 

Link copied!