তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, সঙ্গে ঝলমলে রোদ

দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা কেটে সকাল সকাল ঝলমলে রোদের দেখা মেলায় স্বস্তি ফিরেছে সবার মধ্যে।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

কয়েক দিন ধরে উত্তরের এই জেলার ওপর দিয়ে হিমেল বাতাস যাওয়ায় তাপমাত্রা উঠানামা করছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে পাহাড় থেকে বয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাস পঞ্চগড়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের অবস্থা বেশি করুণ। এই জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের বেশিরভাগ পাথর, চা শ্রমিক ও দিনমজুর হওয়ায় শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ১৬ ডিসেম্বর থেকেই পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় তেঁতুলিয়া উপজেলায় সবার আগে শীত নামে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া ২৬ ডিসেম্বর ১২ দশমিক ১, ২৫ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ৭, ২৪ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি, ২৩ ডিসেম্বর ১৩ ডিগ্রি, ২২ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২১ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২০ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি, ১৯ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ১৮ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ১৭ ডিসেম্বর ১০ ডিগ্রি, ১৬ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে, তীব্র শীতে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।