• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চল ছাড়িয়ে পানি বর্তমানে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।

তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফলে নিচু এলাকার ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সবজি ধান ক্ষেতগুলো তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী ভাঙন ও ফসল নিয়ে আতংকে আছে নদী পাড়ের মানুষজন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুপুর ১২টার দেওয়া তথ্য মতে, গত ৬ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নুন খাওয়া পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার, দুধকুমার পাটেশ্বরী পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সৃষ্ট বন্যায় তিস্তার তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চর ও  নিম্নাঞ্চলের শতাধিক বসতভিটা এবং  গ্রামীণ কাঁচা সড়ক নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এতে শুধু রাজারহাট উপজেলায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৬০০ পরিবার। এ ছাড়া ৩ শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন ও মৌসুমী ফসলের ক্ষেতে পানির নিচে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগ।

রাজারহাটের তিস্তাপাড়ের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “গতকাল থেকে তিস্তার পানি উঠি আমার বসতভিটা তলে গেইছে। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে আছি।”

খিতাব খা গ্রামের আরেক কৃষক আলম বাদশা বলেন, “আমার ৫ শতক জমির বাদাম ক্ষেত তিস্তার পানিতে তলে গেইছে। দেখেন পানি হু হু করে বাড়তেছে,পানির স্রোত খুব।”

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা বেগম বলেন, “আমার উপজেলায় প্রায় ৬০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গতকাল কিছু পরিবারকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল টিম কাজ করছে।”

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “হঠাৎ করেই তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আমাদের লোকজন কাজ করছে মাঠে কী পরিমাণ ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে পরে জানা যাবে।”

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আজ সন্ধ্যার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করবে। অন্যান্য নদ নদীর পানি কমবে। কিন্তু বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই।

Link copied!