• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাঁড়িভাঙা যাচ্ছে সুইডেন


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩, ০৮:৫৮ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাঁড়িভাঙা যাচ্ছে সুইডেন

আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এবার ১ মেট্রিক টন হাঁড়িভাঙা আম গেল সুইডেনে।

সোমবার (১২ জুন) বিকেলে আমগুলো নাচোল থেকে সড়কপথে ঢাকা বিমানবন্দরের উদ্দেশে নেওয়া হয়। রপ্তানিকারক মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থেকে গত ২৫ মে প্রথম দফায় ৭ মেট্রিক টন ক্ষিরসাপাত আম লন্ডন ও সুইডেনে এবং মে মাসের প্রথম দিকে সুইডেনে একই এলাকা থেকে সবজি রপ্তানি হয়েছিল।  

নাচোলের আমচাষি রফিুকুল ইসলাম বলেন, “নাচোল গোলাবাড়ি ইউনিয়নের তেনবোনা এলাকায় মোট ৮৪০ বিঘা জমিতে আম চাষাবাদ করি। এখানে মূলত হাইব্রিড জাতের বারি ৪, ব্যানানা, আম্রপালি, কাটিমণ ও দেশি জাতের ক্ষিরসাপাত জাতের আম চাষ করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “গত বছর সীমিত আকারে আম রপ্তানি হলেও এবছর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকারের সহযোগিতায় উত্তম কৃষি চর্চা পদ্ধতিতে আম চাষ করার মাধ্যমে রপ্তানির সুযোগ পেয়েছি। আশা করছি আমের চাহিদা থাকায় এ বছর তার বাগানের প্রায় সব আমই বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।”

রফিুকুল বলেন, “দেশের বাজারে আমের দাম কম হলেও প্রতি মণ আম সুইডেনে ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি। মেসার্স এমবিবি এগ্রো লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. বদরুদ্দোজা নাচোলের বাসিন্দা হলেও সুইডেনে থাকার কারণে তার মাধ্যমে আমগুলো বিদেশে রপ্তানি করছি।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মেসার্স এমবিবি এগ্রো নামক প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. বদরুদ্দোজা বলেন, “আমি ২০১২ সাল থেকে আম ও বিভিন্ন ধরনের সবজি সুইডেনে রপ্তানি করি। এবারও করছি। এ বছর এখন পর্যন্ত ৪ মেট্রিক টন সুইডেনে ও ৩ মেট্রিক টন আম লন্ডনে পাঠিয়েছি। চাহিদা বাড়লে এলাকার অন্যান্য কৃষক ভাইদের কাছ থেকে আম কিনে সেগুলো বিদেশে রপ্তানি করে থাকি। সোমবার এরই অংশ হিসেবে হাঁড়িভাঙা আম বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে।”

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পলাশ সরকার বলেন, বদরুদ্দোজার মাধমে জেলা থেকে প্রথমবার এ মৌসুমে আম ও সবজি রপ্তানি হয়। সোমবার দ্বিতীয় দফায় ১ মেট্রিক টন আম গেল সুইডেনে। তার আগ্রহ এবং জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রচেষ্টায় উত্তম কৃষি চর্চা পদ্ধতির কারণে এ জেলার আমের চাহিদা বিদেশে বাড়ছে। যা জেলার অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

জেলায় এবার ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। গতবছর বিদেশে আম রপ্তানি হয়েছে ১৩২ দশমিক ৫৬৯ মেট্রিক টন।

Link copied!