বরগুনার উপকূলীয় উপজেলা পাথরাটায় মধ্যপ্রাচ্যের ফল সাম্মাম চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তরিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক।
জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সাম্মাম ফল বেশ জনপ্রিয়। ফলটি দেখতে দেশীয় ফল বাঙ্গির মতো। এর ইংরেজি নাম রকমেলন, খেতে খুবই মিষ্টি, রসালো ও সুগন্ধযুক্ত। প্রতিটির ওজন প্রায় দুই থেকে আড়াই কেজি। জমিতে রোপণের দেড় মাসের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। তিন মাসের মধ্যেই পরিপক্ক হয়। এ ফলের তেমন একটা রোগবালাই নেই। এছাড়া খুবই সামান্য সার ও কীটনাশক ব্যবহার করলেই হয়।
তরিকুল ইসলাম বলেন, “আমার বাবা একজন কৃষক। ছোট বেলা থেকেই বাবাকে দেখেছি কৃষি কাজ করছেন। আমিও তার দেখাদেখি এই কাজে আগ্রহী। ৩৫০ শতাংশ জমিতে সাম্মাম ও তরমুজ চাষ করছি। বর্তমানে সাম্মাম ও তরমুজের মৌসুম না। তারপরেও আমি চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছি। সাম্মাম ও তরমুজ চাষ করে বছরে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা আয় হয়। আমার চাষ দেখে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।”
তরিকুল ইসলাম আরও বলেন, “আমি ইউটিউব দেখে রংপুর থেকে সাম্মামের বীজ সংগ্রহ করেছি। প্রথম দিকে অনেকেই বলেছেন পাথরঘাটায় এই ফল হবে না। কিন্তু আমি সাহস করে চাষ করেছি এবং সফল হয়েছি। প্রতি কেজি সাম্মাম ১০০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। একেকটি সাম্মামের ওজন আধা কেজি থেকে ২ কেজি পর্যন্ত। তরমুজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। একেকটির ওজন আধা কেজি থেকে ৩ কেজি। এ ফল খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছি।
এ ব্যপারে পাথরঘাটা উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার শ্যামল হাওলাদার বলেন, উপকূলীয় জেলায় মাটি ও আবহাওয়া মরুভূমির ফল সম্মাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এই অঞ্চলে মাটি ও বালু থাকার কারণে সাম্মাম চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।