• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ ৭ জন গ্রেপ্তার


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৩, ০৭:০৩ পিএম
ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ ৭ জন গ্রেপ্তার

শরীয়তপুরে এক গার্মেন্টস কর্মীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৫ মে) রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টস কর্মী বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় শনিবার (৬ মে) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগীর বাবা পালং মডেল থানায় মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. মিজান ঢালী (৪৫), মৃত জব্বার ফরাজীর ছেলে মো. জুয়েল ফরাজী (২৪), তোতা বয়াতীর ছেলে মো. সুমন বয়াতী (১৮), আব্দুর রব বয়াতীর ছেলে ইয়াসিন বয়াতী (৩৮), মৃত হাচেন সরদারের ছেলে শাহিন সরদার (৩০), খোকন সরদার (৩৩) ও রাসেল সরদার (২৬)। তারা সবাই রুদ্রকর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরোসুন্দী গ্রামের বাসিন্দা।

মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, জুয়েল ফরাজী বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টস কর্মীর ছুটিতে বাড়ি আসার সংবাদ পেয়ে গোপনে ওত পেতে ছিল অভিযুক্তরা। তার বান্ধবীও বেড়াতে এসেছিলেন। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বান্ধবীসহ ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টস কর্মী ঘর থেকে বের হলে তাদের মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার বান্ধবীকে পাশের রুমে আটকে রাখা হয়। পরবর্তীতে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মী বলেন, “আমরা বের হওয়ার পর আমাকে ও আমার বান্ধবীকে প্রথমে মুখ চেপে ধরে। তারপর আমাদের ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে একটি ঘরের ভেতর নিয়ে নির্যাতন করে। এ সময় আমার বান্ধবীকে পাশের রুমে আটকে রেখেছিল দুর্বৃত্তরা। পাশবিক নির্যাতনের বিচার চাই আমি।”

ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, “শুক্রবার দুপুরে আমার মেয়েকে হুমকি দিয়েছিল তারা। রাতে আমার মেয়ে ও তার বান্ধবীকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন করেছে। বাপ হয়ে মেয়ের এই অবস্থা দেখতে হয়েছে আমাকে। আমি সকলের কাছে সাহায্য চাই। এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।”

রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ঢালী বলেন, “আমি শুনেছি ধর্ষণ হয়েছে। ধর্ষণ মামলায় পরিষদের একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আমি বিস্তারিত জানি না।”

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, “মামলায় উল্লেখিত ৭ জনকে ভোর পাঁচটার দিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসেছি। ভুক্তভোগীর বাবার মামলায় তাদের জেল হাজতে পাঠানো হবে। অজ্ঞাত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।”

Link copied!