রংপুরে গত কয়েকদিনের টানা তাপদাহের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে লোডশেডিং হচ্ছে দশ থেকে বারোবার। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রেই স্থবরিতা বিরাজ করছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখ লাখ গ্রাহক। প্রচন্ড গরমে সবচেয়ে বেশি বিপদে রয়েছেন শিশু ও বয়স্করা।
রংপুর নেসকো সূত্রে জানা যায়, রংপুরসহ বিভাগের আট জেলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ৯০০ মেগাওয়ার্ট। চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ ১৫০ মেগাওয়াট কম। রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায় চাহিদার চেয়ে ঘাটতি রয়েছে। ফলে অনেক স্থানে স্বাভাবিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে পর্যায়ক্রমে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোথাও আধা ঘণ্টা আবার কোথাও এক ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্প-কারখানায় উৎপাদন কমে গেছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজরগুলোয় প্রচন্ড ভিড়। এর মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ঈদবাজারে আসা ক্রেতাদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
কারখানা মলিক ও ব্যবসায়ীরা জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্প-কারখানায় উৎপাদন কমে যাচ্ছে। দোকানে বেচা-বিক্রি হচ্ছে না। ফলে তারা লোকসানের আশঙ্কা করছেন।
এ বিষয়ে রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, আধাঘণ্টা পর পর বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কমে গেছে।বিদ্যুতের এমন লোডশেডিং চরম বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। প্রচণ্ড গরম আর লোডশেডিংয়ের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ। বিদ্যুৎ ঘন ঘন যাওয়া-আসা করায় রোগী এবং তাদের স্বজনরা চরম অস্বস্তিতে রয়েছেন।
এ বিষয়ে নেসকোর রংপুর বিতরণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জাকির হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। অবস্থা উত্তরণের চেষ্টা চলছে।”
আপনার মতামত লিখুন :