• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ছুরিকাঘাতে নিহত দুই রিকশাচালকের পরিবারের পাশে পুলিশ


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২, ২০২৩, ০৮:৩৩ পিএম
ছুরিকাঘাতে নিহত দুই রিকশাচালকের পরিবারের পাশে পুলিশ

ময়মনসিংহে গত ২২ এপ্রিল ঈদের দিন ভোরে নগরীর গোহাইলকান্দি ও জুবলীঘাট এলাকায় সদর উপজেলার দাপুনিয়া বাজারের চান মিয়ার ছেলে সাদেক আলী (৩৫) এবং একই উপজেলার চর ঘাগড়া এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে হাবিবুর রহমানকে (৫১) পৃথক স্থানে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এই অসহায় দুই পরিবারের সদস্যদেরকে আর্থিক সহায়তা করেছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঞা।

মঙ্গলবার (২মে) দুপুরে পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ে নিহত দুই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং তাদের  প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। নিহত অটোরিকশা চালক সাদেক মিয়ার স্ত্রী লাভলী আক্তার ও হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ফজিলা খাতুনের হাতে এই সহায়তা তুলে দেন পুলিশ সুপার।

মাছুম আহাম্মদ ভুঞা বলেন, “এ দুটি হত্যা মামলার তদন্তকালে আমরা জানতে পারি উপার্জনক্ষম এই দুই ব্যক্তির মৃত্যুতে পরিবার দুটির আর্থিক দুরাবস্থায় মানবেতর হয়ে পরে। যা আমাদের হৃদয়ে মারাত্মকভাবে নাড়া দেয়। এ প্রেক্ষিতে আমি (পুলিশ সুপার) এবং কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ব্যক্তিগতভাবে পরিবার দুটির অসহায়ত্বের বিবেচনায় তাদের আর্থিক সহায়তার চিন্তা করি। আজ ওই দুই পরিবারের সদস্যদের ডেকে অর্থ প্রদান করা হলো।”

পুলিশ সুপার আরও বলেন, “এ ধরনের মানবিক কাজ আমরা সব সময় করছি। এই পরিবার দুটোকে কিছুটা হলেও সহায়তা করতে পেরেছি। এছাড়া পুনাক ময়মনসিংহের পক্ষ থেকে পরিবার দুটোর সদস্যদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগের সঙ্গে কথা বলে অসহায় দুই পরিবারের সদস্যদের জন্য আরও কিছু করার চেষ্টা করব।”  

পুলিশ সুপার বলেন, “হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে। আসামিদের যেন কঠোর বিচার হয়, পুলিশ সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।”  

পুলিশ সুপার আরও বলেন, “ঈদের দিন গত ২১ এপ্রিল ভোরে নগরীর ডিএন চক্রবর্তী রোডে অটোরিকশা চালক হাবিবুর রহমান এবং গোহাইলকান্দি পশ্চিম পাড়া সাদেক মিয়া ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়। ওইদিন ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার পর গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।”

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহা. রায়হানুল ইসলাম, কোতোয়ালি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  শাহিনুল ইসলাম ফকির, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ ও নিহত দুই অটোরিকশা চালকের পরিবারের সদসরা উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!