• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে। ছবি : প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে। এতে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে জেলাটি। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

বিষয়টি জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

তিনি বলেন, “সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ও সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। তার আগের দিন রোববার ১০ ডিগ্রি ও শনিবার ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “গতকালের তুলনায় ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা নেমে এ জেলায় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভোর থেকে কুয়াশা ও হিমশীতলের বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।”

এদিকে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় মাধ্যমিক ও প্রাথমিকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল মালেক।

মোহাম্মদ সাইফুল মালেক সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”

একই কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী মঙ্গলবার জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম দুই দিনের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা মো. আমিনুল ইসলাম মন্ডল।

মকছেদা খাতুন নামে একজন অভিভাবক সংবাদ প্রকাশকে জানান, সন্তানকে সকালবেলা তৈরি করে রাস্তায় বের হয়ে হেঁটে কিংবা কোনো যানবাহনে স্কুলে পৌঁছাতে হয়। স্কুলে যাওয়ার পথে প্রচণ্ড শীতে তারা কাহিল হয়ে পড়ে। স্কুল বন্ধ দেওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে তাদের মাঝে।

প্রচণ্ড শীতের কারণে শিশুরা সদির্, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আবার অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শে ঘরে অবস্থান করছে। গত কয়েক দিন ধরে প্রায় পুরো দেশেই জেঁকে বসেছে শীত। মাঘ মাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। পৌষের শুরু থেকেই ঠান্ডাজনিত রোগে কাবু হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম রাজু সংবাদ প্রকাশকে জানান, শীতজনিত রোগ নিয়ে প্রচুর রোগী আসছে। সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু। শীত বাড়লে এই রোগ আরও বাড়বে। শিশুদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। সাধারণ সর্দি-কাশিতে যত্ন না হলে জটিলতা বাড়তে পারে। শীতে শিশুদের সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের প্রকোপ বাড়ে। একই সঙ্গে চর্মরোগ ও ডায়রিয়ার মতো রোগও বাড়ছে। শিশুদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিহিস্টামিন ও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না। শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।

আজ আধুনিক সদর হাসপাতালে ২৬০ রোগী নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। তবে অন্যান্য সময় গড়ে ২২০ জন করে রোগী থাকে বলে জানান তিনি।

Link copied!