• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ছেলেকে বাঁচাতে পদ্মায় ঝাঁপ, বাবার মরদেহ উদ্ধার


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
ছেলেকে বাঁচাতে পদ্মায় ঝাঁপ, বাবার মরদেহ উদ্ধার

ফরিদপুরে চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীর চর থেকে শাহাদত খান (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের গোপালপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায় ছেলে হাফিজুর রহমান ওরফে সিয়াম (১৬)। এসময় নদীর স্রোতের টানে ছেলে ভেসে গেলে বাবা শাহাদাত খান তাকে উদ্ধার করতে নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর তিনি ছেলেকে উদ্ধার করে জেলেদের একটি নৌকার উঠিয়ে দিলেও তিনি নিজে ভেসে যান।

শাহাদাত খান চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের বাদুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কুটি খানের ছেলে। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহাদাত পেশায় একজন পোশাক ব্যবসায়ী। তিনি সপরিবারে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় বসবাস করেন। গ্রামের বাড়িতে ঈদ করবেন বলে শাহাদাত তার স্ত্রী ও সন্তানদের গত সোমবার গ্রামের বাড়ি চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের বাদুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গীতে পাঠিয়ে দেন। বুধবার সকালে তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। বিকেল ৩টার দিকে শাহাদাত তার ছোট ছেলে হাফিজুর রহমান সিয়াম (১৬) এবং ভাতিজা তানভীর খানকে নিয়ে গোপালপুর ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে যান।

হাফিজুর রহমান জানান, সাঁতার কাটতে কাটতে এক পর্যায়ে সে নদীর স্রোতে ভেসে যেতে থাকে। এ সময় তার বাবা সাঁতরে তাকে উদ্ধার করে নদীর পাড়ে আসার সময় একটি নৌকার মাঝিরা প্রথমে তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু তার বাবা নদীর স্রোতে ভেসে যায়।

চরভদ্রাসন দমকল বাহিনীর স্টেশন মাস্টার মুর্তজা ফকির বলেন, পদ্মা নদীতে নিখোঁজ শাহাদাতকে উদ্ধারের জন্য বুধবার বিকেল থেকেই খোঁজা শুরু হয়। পরে এতে ফরিদপুর দমকল বাহিনীর দুই ডুবরি সদস্য অংশ নেন। তবে বুধবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর আজ সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহাদাতের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ফরিদপুর সিএন্ডবি ঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইদ্রিস আলী বলেন, মৃতের পরিবারের সদস্যদের আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Link copied!