নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় মোবাইল ফোনে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে এক তরুণীকে (১৯) তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আব্দুল আলী (২৯) নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে।
রোববার (৯ এপ্রিল) এ ঘটনায় চরজব্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আব্দুল আলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই তরুণী।
আলী উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরওয়াপদা গ্রামের মুকিদ মিয়ার সমাজের করিম হুজুরের ছেলে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন একই সমাজের আবুল হাসেমের ছেলে মো. রাসেদ (২৭) ও একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. আজগর (২৬)।
মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী সদর উপজেলার বাসিন্দা। তিন মাস আগে তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে রং নাম্বারে আলীর পরিচয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৯ মার্চ আলী তাকে ফোন দিয়ে জানান, বিয়ে করার জন্য তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাবেন। ১০ মার্চ ওই তরুণী বিয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে আলী অটোরিকশা করে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যান। পরে দুই সহযোগী রাসেদ ও আজগরের সহায়তায় একটি সয়াবিনক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দেব দাশ বলেন, রোববার এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তরুণীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।



































