• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

কাটাখালে পানি সংকট, খননের দাবি কৃষকদের


রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২২, ০২:১১ পিএম
কাটাখালে পানি সংকট, খননের দাবি কৃষকদের

দুই যুগেও খনন হয়নি খালটি। ক্রমাগত পলি জমে কমেছে পানিপ্রবাহ। এতে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চর আড়ালিয়ার কাটাখালনির্ভর চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সেচের পানির অভাবে ক্ষতির শঙ্কা করছেন কৃষকরা। সমস্যা সমাধানে দ্রুত খালটি খননের মাধ্যমে পানির প্রবাহ সচল রাখার দাবি জানান তারা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বিগত দিনে চর আড়ালিয়ার দুই শ কৃষক কাটাখালের পানি দিয়ে চাষাবাদ করে আসছিলেন। তাদের ৫০০ একর জমির জন্য ৮টি সেচ পাম্প বসানো হয়েছে। কিন্তু খালে পানি না থাকায় ধানক্ষেতের মাটি ফেটে চৌচির হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে পলি জমে কাটাখালটি এখন অস্তিত্ব সংকটে। দুই যুগেও খাল খননে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহতসহ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষক নাসির উদ্দিন, শাহ আলম, নোয়াব মিয়া ও আক্তার মিয়া জানান, কাটাখালের পানির ওপর নির্ভর করেই ৫০০ একর জমিতে বোরো ও ইরি চাষ করা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে খালে তেমন পানি নেই। ফলে ধানক্ষেত শুকিয়ে গেছে। পাতায় হলুদ রং দেখা দিয়েছে। খালটির তিন কিলোমিটার অংশ দ্রুত খননের দাবি জানান তারা।

চর আড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান সরকার জানান, এই জনপদের বেশির ভাগ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। সেচের পানির জন্য কাটাখালের ওপর নির্ভরশীল তারা। কিন্তু খালটিতে পলি মাটি জমে পানির প্রবাহ কমে গেছে। এতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, দুই যুগেও খালটি খনন করা হয়নি। কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘবে কাটাখাল খনন এখন সময়ের দাবি বলে জানান তিনি।

রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নাব্যতা কমে যাওয়ায় কাটাখালের পানিপ্রবাহ কমে গেছে। এতে ফসল উৎপাদন কমবে। ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খালটি পুনরায় খনন করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) শাহাবউদ্দীন আহমেদ জানান, ৬৪ জেলার খাল খনন প্রোগ্রামের মধ্যে কাটাখালটি রয়েছে। এর দুই কিলোমিটার অংশ খনন প্রস্তাবনায় আছে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে অনেকগুলো খাল খনন অনুমোদন পেয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে অনুমোদনের অপেক্ষায় কাটাখাল।

Link copied!