• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

শেরপুরে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
শেরপুরে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা
সরিষা ক্ষেত

সরিষার হলুদের সমারোহ এখন কৃষি ও খাদ্যসমৃদ্ধ অঞ্চল শেরপুরের মাঠ। ক্ষেতের পর ক্ষেত ছেয়ে গেছে হলুদে। মধু আহরণে বেড়েছে মৌমাছির আনাগোনা। ছড়াচ্ছে সুবাস। পরিবেশকে করে তুলেছে মোহনীয়। আবাদও হয়েছে বাম্পার।

জেলা খামারবাড়ী সূত্র জানা যায়, সরকার গত কয়েক বছর ধরে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে দেশে আমদানি নির্ভর ভোজ্য তেলের দাম ক্রমেই বাড়তে থাকায় দেশীয় সরিষার আবাদ বৃদ্ধিতে কৃষক পর্যায়ে প্রণোদনা ও প্রদর্শনী মাঠ বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। ফলে গত ৫ বছরে জেলায় সরিষার আবাদ দ্বিগুণেরও বেশি জমিতে হলেও এর উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। জেলায় এ বছর সরিষার আবাদ ছাড়িয়ে গেছে লক্ষ্যমাত্রাকে। চলতি মাসের মধ্যেই সরিষার ফলন ঘরে উঠার আশা করছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ২০১৮-১৯ মৌসুমে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে, এতে ফলন হয়েছিল ৭ হাজার ১৪৪ মেট্রিক টন। ২০১৯-২০ মৌসুমে ৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ৮ হাজার ৫১২ মেট্রিক টন, ২০২০-২১ মৌসুমে ৭ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে ৯ হাজার ৭৪০ মেট্রিক টন, ২০২১-২২ মৌসুমে ৭ হাজার ৮২২ হেক্টর জমিতে ১১ হাজার ২৯ মেট্রিক টন, ২০২২-২৩ মৌসুমে ১২ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে ১৭ হাজার ২১ মেট্রিক টন এবং চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে ১৮ হাজার ১৮২ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ২৫ হাজার ৬৩৭ মেট্রিক টন।

তবে চলতি বছর জেলায় সরিষার আবাদ বেড়ে হয়েছে ১৮ হাজার ৫৬১ হেক্টর জমিতে। ফলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ২৫ হাজার ৯৮৫ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে।

নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা এলাকার কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, “আমন ধান কেটে এবার ৫ একর জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। কৃষি বিভাগ এক কেজি বীজ ও ২০ কেজি সার দিয়েছে। ভালো আবাদ হয়েছে। আশা করছি বাম্পার ফলন হবে।”

কৃষক তোজাম্মেল হক বলেন, তিনি সরকারি প্রণোদনায় দেড় একর জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। আমন ধানের পর স্বল্প সময়ে সরিষার আবাদ হওয়ায় বছরে ৩টি ফসল আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন।

শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস জানান, সরকার দেশে ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা ও তেল জাতীয় ফসল আবাদের ওপর জোর দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে জেলার ৩০ হাজার কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এক বছরেই উৎপাদন দ্বিগুণ হওয়ার পাশাপাশি মোট জনসংখ্যার চাহিদা পূরণ হয়েছে ৬০ ভাগ।  আগামী বছর যদি ফলন ২৬ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত করা যায়, তবে জেলার শতভাগ চাহিদা পূরণ হবে।

সূত্র : বাসস

Link copied!