• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০২ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করে হত্যার দায়ে আসাদ শেখ ওরফে বাচ্চু শেখ (৪৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ প্রহরায় তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জুলাই মাসে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ভাটিকান্দি গ্রামের মৃত মতিয়ার শেখের মেয়ে শান্তা আক্তারের (২২) সঙ্গে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কানাই মাতুব্বরেরবাড়ি গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে আসাদ শেখের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী দুজনই ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের দিরাজতুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকায় ইদ্রিসের এগ্রো ফার্মে কাজ করতেন। তারা ফার্মের একটি আবাসিক কক্ষে বসবাস করতেন।

ওই বছরের ২৬ মে বেলা ১১টার দিকে সেই আবাসিক কক্ষ থেকে শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে আসাদ পলাতক ছিলেন।

পরবর্তীতে ওই বছরের ২৮ অক্টোবর শান্তার মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে আসাদ শেখকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অবশেষে সেই মামলার রায় দিলেন আদালত।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গোলাম রব্বানী ভূইয়া। তিনি বলেন, “এই রায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নির্যাতন ও হত্যার বিরুদ্ধে এক সাহসী বার্তা। এর মাধ্যমে সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আইনের শক্তিশালী ভূমিকা প্রতিফলিত হলো।”

তিনি আরও বলেন, “আসামি আসাদের এটি ছিল তৃতীয় বিয়ে। এর আগে তার প্রথম স্ত্রীকেও হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই ঘটনায় রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা বিচারাধীন।”

Link copied!