• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

সাত দিন ধরে নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্র রুবেল


শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৩, ০৮:৫৩ এএম
সাত দিন ধরে নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্র রুবেল
রুবেল মিয়া

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সাত দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে রুবেল মিয়া (১৪) নামের এক মাদ্রাসাছাত্র। রুবেল উপজেলার রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ১০ জুলাই ভোরে মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয় সে।

নিখোঁজ রুবেল উপজেলার নয়াবিল ইউপির আবুল হাশেমের ছেলে। নিখোঁজের ঘটনায় হাশেম ১১ জুলাই নালিতাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

পুলিশ, ভুক্তভোগী পরিবার, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রুবেল, তার এক চাচাতো ভাই ও চাচাসহ উপজেলার রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র ছিলো। গত ৮ জুন বিকেলে রুবেল বাড়ি থেকে মাসিক বেতন, বোর্ডিং ফি ও হাত খরচের জন্য আড়াই হাজার টাকা নিয়ে ঈদের ছুটি শেষ করে মাদ্রাসায় ফেরে। ৯ জুলাই রাতে রুবেল প্রতিদিনের মতো তার চাচাতো ভাই রবিউলের পাশে শুয়ে পড়েন। পরদিন ভোরে রবিউল ফজরের নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠে রুবেলকে আর দেখতে পায়নি।

পরে ১০ জুলাই সারাদিন পেরিয়ে রাতেও রুবেলের খোঁজ না মেলায় মাদ্রাসার রুবেলের পরিবারের কাছে নিখোঁজের খবরটি জানানো হয়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ও বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও রুবেলের সন্ধান না পেয়ে ১১ জুলাই  ছেলের সন্ধান চেয়ে নালিতাবাড়ী থানায় জিডি করেন আবুল হাশেম।

আবুল হাশেম বলেন, “আমার ছেলে পড়াশোনায় খুব ভাল। ২২ পারা কোরআন শরীফ শেষ কইরা এখন ২৩ পারা পড়া শুরু করেছে। আবাসিক মাদ্রাসার ভেতর থেকে কিভাবে ছেলে নিখোঁজ হয়?”

মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ ইসমাইল হোসেন বলেন, “মাদ্রাসায় থেকে পড়াশোনা করলেও অনেক ছাত্রই অনেক সময় না বলে বাড়িতে চলে যায়। ১১ জুলাই সকালে হাজিরা খাতায় নাম ডাকলে রুবেল অনুপস্থিত ছিলো। পরে রাতে আবার হাজিরা ডাকার সময়ও রুবেলকে অনুপস্থিত পেয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়।”

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি মাদ্রাসার বেতনের জন্য বাসা থেকে আনা টাকা সে মাদ্রাসায় জমা দেয়নি। সেই টাকাগুলো তার কাছেই ছিলো। আর ঘটনার দিন সকালে রুবেল বাস কাউন্টার থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে টিকিট করে ঢাকায় গেছে বলে জেনেছি। আশা করছি খুব দ্রুত তাকে উদ্ধার করা যাবে।”

Link copied!