• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

পাঁচ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা


পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৩, ১১:৫৯ এএম
পাঁচ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে পড়েছেন পঞ্চগড়ের মানুষ। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

পৌষের শুরুতেই উত্তরের জনপদে শীতের দাপট কমছেই না। উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হওয়ায় গত কয়েক দিন থেকে পঞ্চগড়ে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষ।

টানা পাঁচ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শেষ রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ ছাড়া সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।

দিনের বেলা সূর্যের মুখ দেখা গেলেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকালে কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা-শ্রমিক ও দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষকে।

গ্রামের গৃহিণীরা জানান, কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা। রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো শিশির-ঝরা শব্দ শোনা যায়। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাবপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালি তাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।

চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা জানান, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিম শীতের মধ্যেই চা বাগানে পাতা তুলতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকরা।

এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোয় আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎকরা পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Link copied!