• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বিদেশি সবজি চাষে মনজুরুলের চমক


বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম
বিদেশি সবজি চাষে মনজুরুলের চমক
বিদেশি সবজি চাষে মনজুরুলের চমক

যশোরের শার্শা উপজেলায় বিদেশি সবজি স্কোয়াস চাষ করে সফলতা পেয়েছেন মনজুরুল আহসান নামের এক চাষি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় শীতকালীন সবজির পাশাপাশি এক বিঘা জমিতে স্কোয়াস চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন।

চাষি মনজুরুল আহসান উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

মনজুরুল জানান, কয়েক বছর ধরে আম, বরই, টমেটো, বাঁধা ও ফুলকপিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফল চাষ করে থাকেন। এর মধ্যে ইউটিউবে ভিডিও দেখে শার্শা উপজেলার কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে স্কোয়াসের বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর বাড়িতে মিষ্টিকুমড়া বা লাউয়ের মতো বীজ বপন করে গাছ গজিয়ে পরে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে জমিতে রোপণ করেন। প্রায় দেড় মাস পর ফল আসতে শুরু করে। স্কোয়াস গাছ একদম মিষ্টি কুমড়ার মতো। পাতা, ডগা, কাণ্ড দেখে বোঝার উপাই নেই যে, এটি মিষ্টি কুমড়া নাকি স্কোয়াস গাছ।

মনজুরুল আহসান বলেন, “প্রায় ৩৩ শতক জায়গায় এটা চাষ করেছি। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে পরিচর্চা করেছি। প্রথম চাষ, তাই পরিচর্চা বুঝতে এবং খরচ একটু বেশি হয়েছে। তবে একটি স্কোয়াস বাজারে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় বেশ লাভ হয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমিতে এই স্কোয়াস চাষ করবে।”

তরুণ এই চাষি আরও বলেন, প্রতিটি স্কোয়াস দেড় থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। সবজি হিসেবে এই এলাকায় স্কোয়াস নতুন হওয়ায় এর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ও স্কোয়াস ক্ষেত দেখতে স্থানীয় অন্যান্য সবজি চাষিরা আসছেন। তার স্কোয়াস চাষে এলাকার সাধারণ কৃষকরা বেশ অনুপ্রাণিত হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ কিশোর ঘোষ বলেন, প্রথমবারের মতো শার্শার মাটিতে বিদেশি সবজি স্কোয়াস চাষ হয়েছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও কম খরচে অধিক লাভের চাষ বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামীতে এই এলাকায় প্রচুর স্কোয়াস চাষের প্রসার ঘটবে।

Link copied!