টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পারিবারিক কলহের জেরে মাকে হত্যার ২৭ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছেলে বাদশা মিয়াকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের।
এর আগে, শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাদশা কালিহাতী উপজেলার কালোহা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে বোনের সঙ্গে ঝগড়া হয় বাদশা মিয়ার। এ সময় বাঁশের লাঠি দিয়ে বোনকে মারতে গেলে বাদশার হাত থেকে লাঠিটি কেড়ে নেন মা তমিরন নেছা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাশেই পড়ে থাকা দা নিয়ে তমিরন নেছাকে কোপ দেন বাদশাহ। এতে ঘটনাস্থলেই তমিরন নেছার মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই বাদশা পলাতক ছিলেন। পরে এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করে। ২০০৪ সালের ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি অতিরিক্ত প্রথম জেলা ও দায়রা জজ আদালত বাদশা মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ বলেন, “মাকে হত্যার পরেই বাদশা মিয়া পালিয়ে যান। তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর নাম দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করেন। প্রথমে ঢাকা মহনগরের বাড্ডা এলাকায় থাকতেন তিনি। পরে আশুলিয়া থানাধীন কান্দাইল এলাকায় বসবাস করা শুরু করেন। সেখানে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত চার বছর ধরে তিনি কান্দাইল এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালাতেন। গোপন সূত্রে রোববার রাতে বাদশাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে কালিহাতী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :