• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

হত্যাকাণ্ডের ৩১ বছর পর ছয় আসামির যাবজ্জীবন


যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৩, ০৮:৫৫ এএম
হত্যাকাণ্ডের ৩১ বছর পর ছয় আসামির যাবজ্জীবন

যশোরে আবু জাফর হত্যাকাণ্ডের ৩১ বছর পর ছয় আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বর্নি গ্রামের ইউসুফ আলী শেখের ছেলে একরামুল হক, গৌরম্ভা গ্রামের হাকিম বয়াতির ছেলে হান্নান বয়াতি, আজিম উদ্দিনের ছেলে মান্নান ওরফে ছোট, ফকিরহাট উপজেলার আটটাকা গ্রামের অজিবর রহমানের ছেলে সাবু, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বিরাট গ্রামের আমান উল্লার ছেলে রনকুল ইসলাম ও পিরোজপুর সদর উপজেলার ডুমুরতলা গ্রামের মৃত হাসমত আলীর ছেলে এনায়েত হোসেন। রায় ঘোষণার সময় তারা পলাতক ছিলেন।

এছাড়া মামলায় অপর আসামি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার শেফালিডাঙ্গা গ্রামের মশিউর রহমান মুকুলকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আসাদুজ্জামান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ৭ অক্টোবর সকালে যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সামনে মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার গলায় রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন তৎকালীন এসআই আসলাম খান।

মামলাটি তদন্তকালে বেরিয়ে আসে মরদেহটি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বর্নি গ্রামের আবু জাফরের। আসামিরা জাফরকে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে আসেন। তাকে হত্যার পর যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সামনের মহাসড়কের পাশে মরদেহ ফেলে চলে যান।

মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ওই সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। 

Link copied!