• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বিদেশে পাঠানোর কথা বলে অপহরণ ও হত্যা: ৪ জনের যাবজ্জীবন


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৩, ০৩:৪২ পিএম
বিদেশে পাঠানোর কথা বলে অপহরণ ও হত্যা: ৪ জনের যাবজ্জীবন

বিদেশে পাঠানোর কথা বলে পাবনা থেকে কৌশলে ঝিনাইদহে নিয়ে অপহরণ ও হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এই রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ঝিনাইদহের শৈলকোপা উপজেলার লঘু নন্দনপুর গ্রামের নুরু জোয়ার্দারের ছেলে সবুজ ওরফে দাদা ভাই ওরফে বকুল, কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলার বনগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে আবুল কালাম, নিহাল বিশ্বাসের ছেলে আজাদ হোসেন এবং একই এলাকার খলিল হোসেন।

রায় ঘোষণার সময় আজাদ ও আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ থেকে পাবনার বেড়া উপজেলার রামনারায়পুরের রশিদ সিকদারের বাড়িতে দিনমজুরের কাজে এসে সম্পর্ক তৈরি করেন সবুজ। সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই রশিদকে বিদেশে নেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যান সবুজ। পরেরদিন রশিদের বাড়ির লোকজন তার খোঁজ নিলে ‘তাকে অপহরণ করা হয়েছে’ বলে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন সবুজ।

এ বিষয়ে বেড়া থানায় একটি অভিযোগ দেন রশিদের শ্যালক বাহের মণ্ডল। অভিযোগের সূত্রে ধরে সবুজকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে সবুজ বিষয়টি স্বীকার করে জানান, মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হত্যা করে লাশ পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তবে পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে না পারায় আসামিদের বিরুদ্ধে শুধু অপহরণের মামলা করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান ও মকিবুল আলম বাবলা এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক বলেন, যেহেতু লাশ উদ্ধার হয়নি, এজন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অপহরণ মামলায় বিচার হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিয়মান হয়েছে।

আসামিদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান। তিনি বলেন, “এই রায়ের মাধ্যমে আমার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।”

Link copied!