• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ৮ রমাজান ১৪৪৫

কেসিসি নির্বাচন : আউয়ালের ১০ অঙ্গীকার


খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৩, ০৯:৩২ এএম
কেসিসি নির্বাচন : আউয়ালের ১০ অঙ্গীকার

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখার মেয়র প্রার্থী আব্দুল আউয়াল নাগরিক সেবা প্রদানে রিকশা-ভ্যানের লাইসেন্স ফি মওকুফসহ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

রোববার (৪ জুন) নগরীর ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করতে গিয়ে তিনি এ অঙ্গীকারের কথা জানান।

আব্দুল আউয়াল বলেন, “আমি নির্বাচিত হলে, মানবিক কারণে পায়ে চালিত রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ির লাইসেন্স ফি মওকুফ করা হবে। ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজি-অটোবাইক এবং জ্বালানি তেলচালিত মাহেন্দ্রাসহ অন্যান্য হালকা যানসমূহের লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা হবে।”

আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, লাইসেন্স শুধুমাত্র প্রকৃত ড্রাইভারগণকে দেওয়া হবে। খুলনা সিটির বিভিন্ন গাড়ির স্ট্যান্ড ও মালামাল ওঠানামার ঘাটসমূহে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। ৩০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হবে। ট্রেড লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা হবে। এ ছাড়া কেসিসির বর্ধিতকরণ প্রকল্পে যেসব নতুন এলাকাসমূহ যুক্ত করা হয়েছে, সে সব এলাকার হোল্ডিং ট্যাক্স পাঁচ বছরের জন্য মওকুফ করা হবে। তাদের পানির লাইন বিনা খরচে প্রদান করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন এলাকার রাস্তাঘাট ও স্যুয়ারেজ লাইন মানসম্মতভাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।

কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। টেকসই ও উন্নত রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেসিসিতে টেন্ডার হবে কিন্তু টেন্ডারবাজি হবে না। ই-টেন্ডারিং চালু করা হবে। কেসিসির সামগ্রিক আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট প্রতিবছর প্রকাশ করা হবে।

ইসলামী আন্দোলনের এই প্রার্থী বলেন, “মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আজ মারাত্মক হুমকির মুখে। এ চরম দুরবস্থার কারণ এবং তার সমাধান আমাদের উদঘাটন করতে হবে। হাজার হাজার কোটি টাকা বাজেট হওয়া সত্ত্বেও সিটি করপোরেশনে কাঙ্ক্ষিত মানের উন্নয়ন হলো না কেন? নাগরিক সুবিধা কেন নিশ্চিত হলো না এ জিজ্ঞাসা সব নাগরিকের। বারবার মুখোরোচক স্লোগানের ধোঁকায় আমরা আর কতবার নিপতিত হব। এ থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।”

গণসংযোগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরের কেসিসি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান পরিচালক নাসির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মুফতি আমানুল্লাহ, সমন্বয়নকারী মুফতি ইমরান হুসাইন, সহসমন্বয়কারী হাফেজ আসাদুল্লাহ গালীব, নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, অর্থ সমন্বয়নকারী আবু গালিব, সহসময়ন্বকারী রবিউল ইসলাম তুষার, মিডিয়া সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল নোমান, ফেরদৌস গাজী সুমন, গণসংযোগ সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম, সহগণসংযোগ সমন্বয়কারী মঈন উদ্দিনসহ মিডিয়া সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সহমিডিয়া সমন্বয়ক এম এ সাদীসহ, মোস্তফা আল গালীব, হাবিবুল্লাহ মিসবাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!