রাজশাহীতে র্যাবের হেফাজতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামের এক নারীর। তবে কোনো আঘাতে নয়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবং ময়নাতদন্ত টিমের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন।
সোমবার (৩ এপ্রিল) সকালে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডা. কফিল উদ্দিন এই তথ্য জানান।
গত ২২ মার্চ সকালে অফিসে যাওয়ার পথে শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে জেসমিনকে আটক করে র্যাব। ওই দিন দুপুর ১২টার পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, সুলতানা নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পর দিন ২৩ মার্চ বিকেলে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হক।
নওগাঁ সদর হাসপাতালে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মার্চ সকালে তিনি মারা যান। পরের দিন ২৫ মার্চ রামেকে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে নওগাঁ সরকারি কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে আটকের পর র্যাব হেফাজতে জেসমিনকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।




































