• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রেমের বিয়ে না মানায় শ্বশুরকে হত্যা করেন ইমতিয়াজ


শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৪, ১১:২৫ এএম
প্রেমের বিয়ে না মানায় শ্বশুরকে হত্যা করেন ইমতিয়াজ
গ্রেপ্তার ইমতিয়াজ আলী। ছবি : প্রতিনিধি

প্রেমের বিয়ে না মানায় শ্বশুর ফকির আলীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ধৈঞ্চাক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। দুই দিন পর তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর পর শেরপুর সদর উপজেলার ৭নং চরের এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এর আগে ১৩ মার্চ রাতে পিবিআই, র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত   আলী (২৯) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

স্বীকারোক্তিতে তিনি জানান, এই ঘটনার প্রধান আসামি নিহত ফকির আলীর জামাতা জামাতা মাসুদ।

ইমতিয়াজ আলী শেরপুর সদর উপজেলার ৭ নম্বর চর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে পিবিআইয়ের জামালপুরের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহুরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

পিবিআই জামালপুর জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, ফকির আলীর মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন প্রধান আসামি ও একই এলাকার বাসিন্দা মাসুদ। কিন্তু ফকির আলী এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। এ জন্য মাসুদ তার নিজ আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে গোপন বৈঠক করে ফকির আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট জামালপুরের পাথালিয়ায় কাজে যান ফকির আলী ও আসামিরা। পরবর্তীতে আসামিরা তাদের বাড়িতে এলেও ফকির আলী আর বাড়ি ফিরেনি।

সূত্র আরও জানায়, এর দুই দিন পর পার্শ্ববর্তী ৬নং চর গ্রামের রিপন খানের ধৈঞ্চাক্ষেত থেকে ফকিরের গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর তার স্ত্রী কল্পনা বেগম বাদী হয়ে ২৪ আগস্ট শেরপুর সদর থানায় এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেন। কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেও মামলার রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে। দীর্ঘ তদন্তশেষে পাঁচ বছর পর এ মামলার অন্যতম আসামি ইমতিয়াজ আলীকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার এবং স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এ মামলার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় পিবিআই।

এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহুরুল ইসলাম বলেন, “ফকির আলী হত্যার ঘটনায় ইমতিয়াজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য আসামিরাও খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার হবে।

Link copied!