সাতক্ষীরায় প্রথম দফায় আম ভাঙা (সংগ্রহ) শুরু হয়েছ। জুন পর্যন্ত মোট চার পর্যায়ে এ আম ভাঙার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৫ মে) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ মঈনুল ইসলাম মইন প্রধান অতিথি হিসেবে এই আম ভাঙা উদ্বোধন করেন।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। আমবাগান রয়েছে ৫ হাজার ২৯৯টি। আমচাষির সংখ্যা ১৩ হাজার ১০০ জন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে নবমবারের মতো আম বিদেশে যাবে।
এবার ২২৫ কোটি টাকার আম বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন খামারবাড়ির উপপরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম। ২০১৪ সাল থেকে বিদেশে আম রপ্তানি করা হচ্ছে বলে জানান ওই কৃষি কর্মকর্তা।
সাতক্ষীরার আম পঞ্জিকা অনুযায়ী শুক্রবার প্রথম দফায় গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, সরাই খাস, গোলাপ খাসসহ স্থানীয় জাতের আম পাড়া শুরু করা হয়েছে। হিমসাগরের জন্য ২৫ মে, ল্যাংড়ার জন্য ১ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
আমচাষিরা জানান, সাতক্ষীরার মাটি ও জলবায়ু আম চাষের উপযোগী। এখানকার আম সুস্বাদু। আবহাওয়ার কারণে এবার কালীগঞ্জ, দেবহাটার আম আগে থেকে পাকা শুরু করে। কিন্তু কৃষি বিভাগ আম ভাঙার দিন পিছিয়ে দেওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ছাড়া তাপদাহ ও ঘূর্ণিঝড়ে সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
রপ্তানিকারক সংস্থা উত্তরণের সলিডারেটরের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নবমবারের মতো এবার বিদেশে আম পাঠানো হবে। ১৬ বা ১৭ মের পর ফ্রান্স-ইটালিসহ ইউরোপীয় দেশগুলোতে ৫০ মেট্রিক টন হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম পাঠানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :