• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

তালা ভেঙে স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৪, ০৮:৫১ এএম
তালা ভেঙে স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
স্বজনদের আহাজারি। ছবি : সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তালা দেওয়া একটি বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) উপজেলা সদরের বারোয়ারি বটতলা মহল্লার বাসার তালা ভেঙে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্বজনেরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, রোববার রাত থেকে সোমবার রাতের কোনো এক সময় তিনজনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এরপর খুনিরা বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।

নিহতরা হলেন ওই এলাকার কালিচরণ সরকারের ছেলে বিকাশ সরকার, তার স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার এবং তাদের মেয়ে পারমিতা সরকার। তুষি তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

বিকাশ সরকারের বড় ভাই প্রকাশ সরকার তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বারোয়ারি বটতলা এলাকায় নিজের তিনতলা ভবনের তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন বিকাশ সরকার। প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আরও পাঁচটি পরিবার ভাড়া থাকে। স্বজনেরা দুই দিন ধরে বিকাশের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। পরে সোমবার রাতে বাসায় এসে বাইরে থেকে তালা দেওয়া দেখতে পান। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নূরে আলম নিহতদের স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন, তাদেরকে গত দুই দিন ধরে না পেয়ে স্বজনরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বাসায় গিয়ে বাইরে থেকে তালা ঝোলানো দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখতে পান তাদেরকে কুপিয়ে ও জবাই হত্যা করা হয়েছে। স্বজনদের ধারণা, রোববার রাত থেকে সোমবার দিনের কোনো একসময়ে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে।

সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া-তাড়াশ) অমৃত কুমার সূত্রধর বলেন, “তাদের সর্বশেষ শনিবারে দেখা গেছে বলে তার স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। এরপর যেকোনও সময় হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধারে কাজ করছি। এরপরও যেহেতু সিআইডি আসবে এবং ক্রাইম স্পট থেকে আলামত সংগ্রহ করবে- তাই সেভাবেই কাজ করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে ও থানায় মামলা হবে।

Link copied!