ছাত্রীদের উত্যক্ত করায় গ্রেপ্তার, মুক্তির দাবিতে অভিভাবকদের মানববন্ধন

পাবনার চাটমোহরে স্কুলছাত্রীদের উত্যক্ত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম লফিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২ জুলাই) দুপুরে চাটমোহর উপজেলার পাঁচুরিয়া গ্রামে এলাকাবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এ কর্মসূচি পালন করেন।

প্রথমে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্থানীয় সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা। পরে মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা রফিকুল ইসলাম লফিনের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন রফিকুল ইসলাম। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে স্কুলের কতিপয় শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় ছাত্রীদের উত্যক্ত করার মিথ্যা অভিযোগ দেন প্রধান শিক্ষক।

বক্তারা আরও বলেন, যে অভিযোগে রফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ডিবিগ্রাম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনছু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর আব্দুস সামাদ, অভিভাবক শফিকুল ইসলাম, আব্দুল আওয়াল, আলমগীর হোসেন, রেখা খাতুন, নবম শ্রেণির ছাত্রী তমা খাতুন।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “এখন রফিকুলের দোষ ঢাকার জন্য, মামলার সাজা থেকে মওকুফ পাওয়ার জন্য এসব মিথ্যা কথা বলছে। নিজেদের আত্মীয়-স্বজন আর লোকজন ভাড়া করে এনে বিক্ষোভ মানববন্ধন করেছে তারা। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়।”

পাঁচুরিয়া মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নানাভাবে উত্যক্ত করার অভিযোগে স্থানীয় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম লফিনের গ্রেপ্তার দাবিতে ২৪ জুন বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর একটি অংশ। ওইদিন রাতে চাটমোহর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। পরদিন ২৫ জুন অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম লফিনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।