• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ফরিদপুরে


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ফরিদপুরে

ফরিদপুরে বিগত পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বিগত পাঁচ বছরের জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে কয়েক দিন ধরে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে এ জেলার মানুষ। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। রোদের কারণে ছাতা ছাড়া রাস্তায় বের হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। লোডশেডিংয়ের কারণে তীব্র গরমে প্রায় প্রতিটি ঘরেই জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানা রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা গরমে নাজেহাল। অনেকে রোদ আর গরম থেকে বাঁচতে গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন।

ফরিদপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিগত পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিনই তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে ফরিদপুর।

শহরের ঝিলটুলী এলাকার শ্রাবণী আক্তার বলেন, “দিনে-রাতে একই রকম গরম লাগছে। এ ছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের বেশি কষ্ট হচ্ছে। গরমের কারণে বাচ্চাদের জ্বর-সর্দি লেগেই আছে।”

একই এলাকার হায়দার আলী বলেন, “গরমে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। এখন বোঝা যাচ্ছে গাছের প্রয়োজনীয়তা কতখানি। নগরের যেসব এলাকায় গাছ নেই, সেসব এলাকার রাস্তায় হাঁটাই মুশকিল হয়ে গেছে।”

হায়দার আলী আরও বলেন, “ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা।”

ফরিদপুর শহরের মুদি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, “বেশ কয়েকদিন ধরে গরমের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। ফ্যান চললেও বাতাস গায়ে লাগছে না।”

হামিদ খান নামের এক রিকশাচালক বলেন, “তীব্র গরমে রিকশা চালানো দায় হয়ে গেছে। যাত্রীও তুলনামূলক কম পাচ্ছি।”

এদিকে প্রখর রোদের কারণে ফল-ফসলের ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। আম, লিচু, ধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসল পুড়ে যাচ্ছে। এতে লোকসানের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ফরিদপুর আবহাওয়া কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “এমন তীব্র তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। তবে, বৃষ্টি নামলে তাপমাত্রা কমে আসতে পারে। এ ছাড়া বর্তমানে রাতে তাপমাত্রা তুলনামূলক কমছে না। যার কারণে রাতেও অত্যাধিক গরম অনুভূত হচ্ছে।”

Link copied!