• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পাবনায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ‘ন্যায্যমূল্যের বাজার’


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৩, ০৭:২৮ পিএম
পাবনায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ‘ন্যায্যমূল্যের বাজার’
ন্যায্যমূল্যের বাজার থেকে সবজি কিনছেন ক্রেতারা। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে এক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন। শহরের ঘোড়া স্ট্যান্ড ও রায়বাহাদুর গেটের অদূরে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ন্যায্যমূল্যের বাজার’।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ‘ন্যায্যমূল্যের বাজারে’ গিয়ে দেখা যায়, সবজি কিনতে ক্রেতাদের ভিড়। নিজেদের প্রয়োজনীয় সবজি কিনছেন তারা। তাদের চোখে মুখে স্বস্তির হাসি। বাজারে বিভিন্ন সবজি বিক্রির কাজে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা।

বাজারে দায়িত্বরত দেওয়ান মাহবুব জানান, ন্যায্যমূল্যের বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ১৫ টাকা, পটল ৩৫ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, মুলা ৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া এক ফালি ২০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ২৬ টাকা, সবুজ শাক দুই আটি ১৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা বর্তমান বাজারদর থেকে অনেক কম।

মাহবুব বলেন, “গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এই ন্যায্যমূল্যের বাজার চালু করা হয়েছে। সপ্তাহের সাতদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু সবজি শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলে বেচা-বিক্রি। প্রতিদিন সকালে কৃষকের জমি থেকে সরাসরি সবজি কিনে এনে বিক্রি করা হচ্ছে।”

বাজারে সবজি কিনছিলেন মতিউর রহমান নামের এক রিকশাচালক। তিনি বলেন, “বর্তমানে বাজারে গেলি যেরম দাম বাড়িছে, তা আর কী কবো। অর্ধেক বাজার কইরে লিয়ে বাড়িত যাওয়া লাগে। এহেনে দেখতিছি বাজারের চাইতে দাম মেলা কম। আজকে বেশি করে কিনবের পারলেম।”

সবজি কিনতে আসা নাজমা খাতুন নামের এক গৃহবধূ বলেন, “বাজারে গেলি দেহা যায় এক কেজি বেগুন লেয় ৪০ টেকা। এহেনে পাইলেম ১৫ টেকায়। এক আঁটি শাক লেয় ২০ টেকা। এহেনে লিলেম দুই আঁটি ১৫ টেকায়। কত উপকার হলো। এই উদ্যোগটা খুব ভালো। গরীব মাইনসের খুব উপকার হচ্ছে।”

ন্যায্যমূল্যের সবজির বাজারের উদ্যোক্তা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন বলেন, “কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে সবজির বাজার নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরাসরি কৃষকের ক্ষেত থেকে সবজি কিনে এনে বাজারে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করছি। এতে করে ভালো সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে।”

রুহুল আমিন বলেন, “এরপর আমরা পেঁয়াজ, তেল, চাল, ডাল, মাংসসহ বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করব। বাজার নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।”

Link copied!