নওগাঁয় প্রচণ্ড গরম ও তীব্র রোদে জনজীবন রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের প্রখরতাও বাড়তে থাকে। গরমের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই কাজে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে। মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলও ব্যাকুল হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে নওগাঁয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন পুরোপুরিভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে কাজ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ, ভ্যান-রিকশাচালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় চলাচল ও ফসলি মাঠে লোকজনের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। এরপরও খেটে খাওয়া মানুষগুলো জীবন জীবিকার তাগিদে ও জরুরি প্রয়োজনে প্রচণ্ড গরমকে উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অনেক পথচারী ছাতা মাথায় দিয়ে চলাচল করছেন।
নওগাঁ নওহাটা এলাকার কৃষক আমজাদ আলী বলেন, “রোদের তেজের কারণে গরমে কাজ করতে পারছি না। গত কয়েকদিন যাবৎ প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এ অবস্থা কৃষি কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়েছে।”
নওগাঁর মান্দা উপজেলার পরানপুর গ্রামের কৃষক রিয়াজ উদ্দিন সরদার,মাজেদ ও রইচ উদ্দিন বলেন, “গরম সহ্য করতে না পেরে শিশুসহ বয়সীরা দিনে ২-৩ বার গোসল করছেন। ওপর দিকে কোঁচড়া গ্রামের শিশু ও বয়সীরা তীব্র গরমে শিব নদীতে গোসল করতে দেখা যায়।”
নওগাঁ সরকারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধরী জানান, এই গরমে নানা বয়সীদের জ্বর, ঠান্ডা-কাশি ও পাতলা পায়খানাসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করতে হবে এবং তরল জাতীয় খাবার খেতে পরামর্শ দেন তিনি। তাছাড়া আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।