দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ আহত হয়েছেন।
জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য মুস্তাকিম মুহিব ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শীষ হাসানের নেতৃত্বে একদল যুবক এ হামলা করেছে।
তবে মুস্তাকিম মুহিবের দাবি, হামলার ঘটনায় জড়িত নন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগ নেতারা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে কর্মীদের নির্দেশনা দিতে বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা আহ্বান করে জেলা ছাত্রলীগ। সভার শুরুতেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানানোর সময়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাকিম মুহিব ও শীষ হাসানের নেতৃত্বে একদল যুবক আসেন। এ সভা আয়োজনে তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়নি অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্তকে ধমকাতে শুরু করেন।
এ সময় সবুজ ও সীমান্ত তাদের বসতে বললে তারা চেয়ার ভাঙচুর ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। আকস্মিক হামলায় নেতাকর্মীরা ছোটাছুটি শুরু করলে সভাপতি সবুজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ সাবেক নেতারা চেয়ার তুলে আঘাত করলে আহত হন সবুজ। পরে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করে আগতরা। পরে জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আবার সভা শুরু করেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত বলেন, কতিপয় চিহ্নিত যুবক প্রকাশ্যে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা ছাত্রলীগের কেউ না। পরিকল্পিতভাবে তারা আক্রমণ ও সভা পণ্ডের চেষ্টা করেছেন। আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা নেব।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ছেলে মুহিব ছাত্রলীগে সক্রিয় নয়। তারা কোনো কারণ ছাড়াই হামলা করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
মুস্তাকিম মুহিব বলেন, “আমরা ছাত্রলীগের সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িত। সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার বছর পেরিয়ে গেলেও তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেনি। নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রমও তারা স্বৈরাচারী প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করে। নির্বাচনী কমিটিগুলোতে কেন আমাদের রাখা হচ্ছে না জানতে আমরা গিয়েছিলাম। এ সময় তারা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে বঞ্চিত কর্মীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিষয়টিকে হামলা বলে ঘটনা ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় দলীয় কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভায় একটি ঘটনা ঘটেছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ দেয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :