• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
গাসিক নির্বাচন

সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, রাত পোহালেই ভোট


গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৩, ১১:১৫ পিএম
সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, রাত পোহালেই ভোট

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে পুলিশের ব্রিফ এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) অন্যান্য সব সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে প্রিজাইডিং অফিসাররা তা সংগ্রহ করছেন।

বুধবার (২৪ মে) দুপুরের পর থেকে গাজীপুর মহানগরের পৃথক ৫টি আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে, নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা উৎসব মুখর পরিবেশে এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহ করছেন।

জানা গেছে, গাজীপুর সিটির ধীরাশ্রম জিকে হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১২০টি কেন্দ্রের, চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড স্কুল থেকে ১১৫টি কেন্দ্রের, দারুস সালাম মাদ্রাসা থেকে ৫৮টি কেন্দ্রের, আজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৬৮টি কেন্দ্রের ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১৯ কেন্দ্রেরর নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে।

১৯৫নং কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রেজাউল করিম বলেন, “আমরা ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনী অন্যান্য সরঞ্জাম বুঝে নিয়েছি। কেন্দ্রে পৌঁছে ইভিএম মেশিন চালিয়ে দেখব। যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে রিটানিং কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেব। কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও ভোট সুষ্ঠের জন্য ৪জন পুলিশ ও ১২আনসার সদস্য দেয়া হয়েছে।”

এদিকে, গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “নির্বাচন উপলক্ষ্যে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢেঁকে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে যেসব কেন্দ্র অতি গুরুত্বপূর্ণ সেসব কেন্দ্রে অধিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার যেসব কথা প্রচলন রয়েছে এমন কোনো ঘটনা ঘটবে না।”

রিটানিং কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১ টি কেন্দ্র অতি গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে ৫৭ টি ওয়ার্ডে ৫৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত ১৯ জনসহ সর্বমোট ৭৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও র‌্যাবের ৩০টি টিম এবং ২০ প্লাটুন বিজিবিসহ সর্বমোট প্রায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনে  দায়িত্ব পালন করবেন। কাশিমপুর থানায় ৪৭টি, কোনাবাড়ি থানায় ৪৩টি, বাসন থানায় ৪২টি, সদর থানায় ৪৬টি, গাছা থানায় ৫৭টি, পূবাইল থানায় ৩২টি, টঙ্গী পূর্ব থানায় ১১১টি এবং টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৫২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।

ব্রিফিংয়ে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা গাজীপুরবাসীকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দিতে চাই। আমাদের কিছু কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ আছে। সেই কেন্দ্রগুলোকে আমরা আলাদাভাবে নজরদারিতে রাখব এবং সেখানে ফোর্স বাড়িয়ে দেব। সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি সে ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো ব্যত্যয় ঘটলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে জিএমপি কমিশনার বলেন, “প্রিজাইডিং অফিসারের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আছে। যে কোনো বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার যোগাযোগ করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। ভোটকেন্দ্র সঠিকভাবে আছে কি না, নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি আছে কি না, কোথায় নিরাপত্তার ঝুঁকি, এসব বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা যেন নির্বাচনটা সঠিকভাবে করতে পারি।”

কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা বুধবার পর্যন্ত সুন্দরভাবে চলে আসছি। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) নির্বাচনের দিন আপানারা যাতে সুন্দরভাবে দেশবাসীকে খবর জানাতে পারেন সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করব। সিটি নির্বাচনে ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং ৩৫১টি কেন্দ্রে আমরা আলাদাভাবে গুরুত্ব দিব।”

তিনি আরও বলেন, “ভোটগ্রহণ শুরু হলে সবাই যেন লাইনে দাঁড়াতে পারে, কেউ যেন পেশিশক্তি ব্যবহার করতে না পারে, কেউ যাতে ও মাস্তানি করতে না পারে এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। ভোটার ও জনগণের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে। আমাদের অনেক মা-বোনেরা আছেন, তাদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে। অনেক ভোটার আসবে হয়ত চোখে দেখে না, হাঁটতে পারে না, যেভাবে সাহায্য করা যায়, সাহায্য করতে হবে।”

Link copied!