সৌদি আরবের সাথে সংগতি রেখে পটুয়াখালীর ২৫ গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। সকালে ৯টায় পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। এ ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন দরবার শরীফ মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম গনি। আগাম ঈদকে কেন্দ্র করে এ এলাকায় বিরাজ করছে খুশির জোয়ার।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ও ছোট বিঘাই, গলাচিপা উপজেলার সেনের হাওলা, পশুরিবুনিয়া, নিজ হাওলা ও কানকুনি পাড়া, বাউফল উপজেলার মদনপুরা, শাপলাখালী, রাজনগর, বগা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদী, চন্দ্রপাড়া, দ্বি-পাশা, কনকদিয়া, সাবুপুরা, বামনিকাঠী, বানাজোড়া ও আমিরাবাদ এবং কলাপাড়া উপজেলার দক্ষিণ দেবপুর, পাটুয়া, মরিচবুনিয়া, নাইয়া পট্টি, নিশানবাড়িয়া, শাফাখালী, তেগাছিয়া, ছোনখোলা ও বাদুরতলী গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সাথে সংগতি রেখে পবিত্র ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
বদরপুর দরবার শরীফের খাদেম মো. নাজমুল আকন্দ জানান, বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের সঙ্গে সংগতি রেখে তারা রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকেন। তারা পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফের পীর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার পীর এবং পটিয়ার এলাহাবাদ পীরের অনুসারী। তাদের চাঁনতারা পীরের মুরিদও বলা হয়ে থাকে।
এসব গ্রামের মানুষ ১৯২৮ সাল থেকে প্রতিবছর আগাম রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন।
