• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

তদন্তে গিয়ে টাকা দাবি, ওসি-এএসআই প্রত্যাহার


গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪, ০৮:৫৫ এএম
তদন্তে গিয়ে টাকা দাবি, ওসি-এএসআই প্রত্যাহার

বঙ্গবন্ধুর গানম্যানের পরিবারের কাছে টাকা দাবি ও খারাপ আচরণ করায় গাজীপুরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও এক এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার তাদের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেন।

প্রত্যাহার হওয়া দুই পুলিশ সদস্য হলেন গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আল আমিন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গানম্যান ও দেহরক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মোহাম্মদ ইসলামের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা থানাধীন বাদশা মিয়া স্কুল রোড এলাকায় বাড়ি করে বসবাস করে আসছে। ৫ মাস আগে মহানগরীর মোগরখাল এলাকার আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে জমি কেনেন মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. আ. জলিল। কিন্তু কয়েক লাখ টাকা বাকি রেখে জমির রেজিস্ট্রি করেন।

কথা ছিল দুই থেকে তিন মাস পর জমির বাকি টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তু মো. আ. জলিল জমির বাকি টাকা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে পারেননি। এ নিয়ে জমি বিক্রেতার সঙ্গে মনোমালিন্য হলে একটি উকিল নোটিশ পাঠান আব্দুল মান্নান। পরে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জমি বিক্রেতা আব্দুল মান্নান গাছা থানায় একটি অভিযোগ দেন।

মো. আ. জলিল বলেন, “অভিযোগটি তদন্ত করতে ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমাদের বাড়িতে সাদা পোশাকে আসেন গাছা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আল আমিন। পরে আমাকে খুঁজতে থাকেন। এ সময় আমি বাথরুমে থাকায় ছেলে এগিয়ে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। পরে আমি বেরিয়ে এলে আমার সঙ্গেও বাজে আচরণ ও গালিগালাজ করেন এএসআই।”

আ. জলিল দাবি করেন, আলাপ আলোচনার একপর্যায়ে এএসআই আল আমিন তার কাছে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিলে তিনি জমি বিক্রেতার কাছ থেকে কয়েক মাসের সময় নিয়ে দেবেন বলে জানান। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার সঙ্গে আরও খারাপ ব্যবহার করেন তিনি।  

আ. জলিল আরও জানান, তাকে গাছা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানার নিচতলায় নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কে বসিয়ে রেখে তার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করা হয়। এক পর্যায়ে জলিলের গায়ে হাত তোলেন এএসআই আল আমিন।  

বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলমকে জানালে তিনি কোনো প্রতিকার না করে তাকে পাওনাদারের টাকা দ্রুত পরিশোধ করতে বলেন। পরদিন ১২ মার্চ ব্যবসায়ী মো. আ. জলিল বিষয়টি গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহাবুব আলমের কাছে মৌখিকভাবে এবং পরে লিখিতভাবে জানান।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সহকারী কমিশনার (এসি-ডিবি) সুবীর কুমার সাহা বলেন, গাছা থানার ওসি ও এএসআইকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

Link copied!