• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
কেসিসি নির্বাচন

ইভিএম নিয়ে লিখিত অভিযোগ হাতপাখার মেয়র প্রার্থীর


খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩, ০৩:৪৭ পিএম
ইভিএম নিয়ে লিখিত অভিযোগ হাতপাখার মেয়র প্রার্থীর

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হচ্ছে। ইভিএমে ধীরগতি হওয়ায় অনেক ভোটার ভোট দিতে এসে উৎসাহ হারাচ্ছেন। এরই মধ্যে ইভিএমে ভোট নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল।

হাতপাখার এই প্রার্থী অভিযোগ করেন, “ইভিএম মেশিন অনেক পুরোনো। ইভিএমে হাতপাখায় ভোট দিলে তা নৌকায় চলে যাচ্ছে।”

আব্দুল আউয়ালের সহকারী মো. নাসির সাংবাদিকদের বলেন, “খুলনা সিটির ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর কেন্দ্র স্যাটেলাইট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমাদের একজন ভোটার হাতপাখায় চাপ দিলেও ভোট নৌকায় চলে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “অভিযোগ পেয়ে আমরা ওই কেন্দ্রে গেছি প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রিসাইডিং অফিসার আনোয়ারুল কবির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে আমরা একটা লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।”

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল বলেন, “ইভিএমে এভাবে ভোট হলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের শঙ্কা রয়েছে।”

৯২ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আনোয়ারুল কবির  জানান, তার কেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটেছে। হাতপাখার যে ভোটার ছিলেন তিনি একসঙ্গে কয়েকটি বাটনে চাপ দিয়ে মূল বাটনে চাপ দিয়েছেন। পাশাপাশি নৌকা ও হাতপাখার বাটন থাকাতে তিনি বুঝতে পারেননি। এটাতে তার ভোট পরিবর্তন হয়েছে হয়তো।

এরপর তিনি বাইরে এসে অভিযোগ জানালে এখানকার ইভিএম বিশেষজ্ঞরা সেটি দেখেছেন। তবে তার অভিযোগ অনুযায়ী তেমন কিছুই ইভিএমে পাওয়া যায়নি। এখানে আরও অনেক ভোটার আছেন, কেউ এমন সমস্যার কথা বলেনি।

আনোয়ারুল কবীর বলেন, ওই প্রার্থীর অভিযোগের কোনো সত্যতা এখন পর্যন্ত এখানে ধরা পড়েনি। তারা অভিযোগ দিয়েছে। সেটা খতিয়ে দেখা হবে। এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৫০৯ জন। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে প্রায় ৬০০টি।

ইভিএমে ধীরগতির অভিযোগ জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুও। তিনি জানান, ইভিএম নতুন প্রযুক্তি। মানুষের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই ভোট গ্রহণ বিলম্ব হতে পারে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মেয়র পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়ালঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল)।

এ ছাড়া সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।

Link copied!