• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

মহেশখালীতে দুপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৩


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৪, ০৩:২১ পিএম
মহেশখালীতে দুপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৩

কক্সবাজারের মহেশখালীর হেতালীয়া লবণ ঘেরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে তিন লবণচাষি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় হোয়ানক ইউনিয়নের হেতালিয়া ঘোনা এলাকায় ফেরদৌস এবং মীর কাসেম গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

গুলিবিদ্ধ লবণচাষিরা হলেন কুতুবদিয়ার লেমশীখালীর নুরুল হকের ছেলে মো. জামাল উদ্দীন, হোয়ানক কালালিয়া কাটার আবুল কালামের ছেলে মো. জমির এবং কেরুনতলীর ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মো. নেজাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে হোয়ানকের ফেরদৌস ও মীর কাসেম গ্রুপের মধ্যে হেতালিয়া ঘোনার লবণ মাঠের জমি এবং চিংড়ি প্রকল্প দখল নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে ৪ হাজার মণ লবণসহ মীর কাসেম গ্রুপের একটি ভলগেট সাগরে ডুবিয়ে দেন ফেরদৌস গ্রুপের সদস্যরা। এ নিয়ে দিনভর উত্তেজনা চলে। একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে কাসেম গ্রুপের লবণচাষিদের ওপর ফেরদৌস গ্রুপের লোকজন গুলি করে। এ সময় দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মীর কাসেম গ্রুপের তিন লবণচাষি গুলিবিদ্ধ হন। তাদের প্রথমে মহেশখালী পরে কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফেরদৌস জানান, হেতালিয়া ঘোনা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সমাধান করে দিয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তার লোকজন উমখালী ঘোনায় কাজের সময় প্রতিপক্ষরা বাধা দেন। এতে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। তবে তিনজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন।

মীর কাসেম চৌধুরী বলেন, “ফেরদৌস গ্রুপের সঙ্গে মহেশখালীর সন্ত্রাসীরা মিলিত হয়ে আমার লোকজনের ওপর গুলি করে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হন।”

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Link copied!