সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় নিখোঁজের ৭ দিন পর মাটির স্তূপের নিচে চাপাপড়া অবস্থায় প্রলয় দাস পার্থর (৮) মরদেহ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর হবিবপুর ইউনিয়নের আছানপুর গ্রামের পাশে চামটি নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধের পাশে একটি নালাতে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ওই নালাতে স্থানীয়রা শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রলয় দাস পার্থের লাশ উদ্ধার করে। পরে পার্থের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেন।
স্থানীয়দের ধারণা, নালাটিতে মাটিচাপা পড়ে পার্থের মৃত্যু হয়েছে।
১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় চামটি নদীর পাড় থেকে নিখোঁজ হয় শিশুটি। পরে তার চাচা শাল্লা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
নিহত প্রলয় দাস উপজেলার আছানপুর গ্রামের প্রদীপ দাসের ছেলে।
সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি (দিরাই সার্কেল) শহীদুল হক মুন্সি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, পুলিশ ও এলাকাবাসীর প্রাথমিক ধারণা, নালার পাশের মাটি ধসে পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সুনামগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আপাতত পুলিশের কাছে বা নিহতের পরিবারের কাছে মৃত্যু নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ নেই। এটা আইনি নিয়ম। তাই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের বরাতে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল জলিল জানায়, প্রলয় দাসের মরদেহ প্রায় দেড় ফুট মাটির নিচ থেকে খুঁড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিশুটি পানির নালার মাটির নিচে চাপা পড়ে মারা যায়। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :