পাবনার চাটমোহরের দিঘুলিয়া গ্রামে মা লাবনী খাতুন ও ৮ বছরের শিশুসন্তান রিয়াদকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লাবনীর ভাতিজা শাহীন ও প্রতিবেশী মতিন নামের দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে লাবনী খাতুনের ভাই শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, রহস্য উদ্ঘাটনে ও আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। মা ও ছেলের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামে লাবনী খাতুন ও ছেলে রিয়াদ হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা ফৈলজানা ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী ও ছেলে। রশিদ দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় থাকেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফৈলজানা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, সকালে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এমনি কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না তাদের। কে বা কারা তাদের এভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেটা প্রশাসন ভালো বলতে পারবেন।
এ ঘটনায় এখনো কাউকে শনাক্ত বা আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় মেম্বার মো. নান্নু বলেন, ওই বাড়িতে ওই নারী, তার ছেলে ও শাশুড়ি বসবাস করতেন। বাড়ির ভবন তৈরি কাজ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ হয়তো টাকাপয়সা চুরি বা ডাকাতি করতে গিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। নারীর মরদেহ রান্না ঘরে পড়েছিল এবং ছেলেটির মরদেহ পাশের এক গাছে ঝুলছিল।
চাটমোহর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতে নিহতদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে মা ও ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ প্রকৃত অপরাধীতে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :